ইবিতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, আহত ৩

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৭ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, মাহমুদুল হাসান উৎস, রিয়াজ উদ্দিন ও বাদশা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগপত্রে বলেন, রোববার দুপুরে বিভাগের পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পাসের আমতলার ঝাল চত্বরে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অতর্কিত আক্রমণ করে কাঠের বাটাম, ইট, লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। এতে উৎস কপাল ও পিঠে জখমসহ চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এসময় অন্য দুজনও আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।

ভুক্তভোগী ও তার সহপাঠীরা জানান, ২২ নভেম্বর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ক্যাম্পাসের লেকে চড়ুইভাতির আয়োজন করা হয়। ওই সময় ভুক্তভোগী উৎস ভুলক্রমে অনুষ্ঠানে খাবার পরিবেশনের জন্য আনা একটি ওয়ানটাইম প্লেট ভেঙে ফেলেন। পরে এটা নিয়ে অভিযুক্ত নাঈম ও মারুফসহ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অন্যরা উৎসসহ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সবাইকে গালমন্দ ও অপমান করেন। তখন উৎসসহ তার সহপাঠীরা প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মাহমুদ হাসান উৎস বলেন, সামান্য পাঁচ টাকার একটি প্লাস্টিক প্লেট। ওইটা ভুলক্রমে ভেঙে যাওয়ার পর আমি অনেকবার সরি বলার পরও তারা আমাদের ব্যাচের সবাইকে আমাদের জুনিয়রদের সামনে অপমান করতে থাকে। এটা নিয়ে তখন আমাদের সঙ্গে তাদের হালকা বাকবিতণ্ডা হয়। এ সামান্য বিষয়টাকে তারা এত বড় ইস্যুতে পরিণত করেছে।

বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম নাইম বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম না। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

অপর অভিযুক্ত মাসুদ রানা বলেন, আমি ওখানে মারামারি করতে যাইনি। মারামারি হচ্ছে দেখে থামাতে গিয়েছিলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম বলেন, চোখে আঘাতের ফলে ভেতরে কিছুটা রক্তক্ষরণ হয়েছে। ব্যথার ওষুধ, চোখের ড্রপসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছি। এক সপ্তাহ পর তাকে আবার দেখা করতে বলেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনাটি নিয়ে বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা এক দিন সময় চেয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল বিভাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।