রাবিতে বেড়েছে জন্ডিসের প্রকোপ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পানিবাহিত রোগ জন্ডিস তথা হেপাটাইটিস এ ভাইরাস রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত তিনদিনে ২৫ শিক্ষার্থী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দূষিত পানি ও ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান রাবি চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের উপ-প্রধান চিকিৎসক ডা. মো. লোমান মঞ্জুর (অপু)।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল, একাডেমিক ভবনসহ পুরো ক্যাম্পাসে সাবমারসিবল পাম্পের সংখ্যা খুবই কম। এদিকে টিউবওয়েল ও মোটরের পানিতে প্রচুর আয়রন থাকায় এ রোগ হচ্ছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এ রোগীর সংখ্যা। গত তিনদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ৪৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জনের এ রোগ সনাক্ত হয়েছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক ড. তবিবুর রহমান শেখ।

বিশ্ববিদ্যালয় উপ-প্রধান চিকিৎসক ডা. মো. লোমান মঞ্জুর বলেন, ‘গত তিন সপ্তাহ ধরে জন্ডিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত তিনদিনে ৪৮ রোগীর মধ্যে ২৫ জনের এ রোগ সনাক্ত হয়েছে। মূলত ঠান্ডাজনিত সমস্যার কারণে মানুষ এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এছাড়া পানি ও ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে হেপাটাইটিস এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সঠিক বিশ্রাম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগ নিরাময় হয়।‘

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে মানুষ চলাচল কম করে যার ফলে রক্ত চলাচলও কম করে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের কারণেই জন্ডিস হচ্ছে। এটি মূলত পানিবাহিত রোগ। এ রোগ থেকে নিরাময় পেতে হলে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। সবার উচিত পিউর টিউবওয়েল বা সাবমারসিবলের পানি দিয়ে রান্না এবং খাওয়া। যাদের লক্ষণ খারাপ মনে হয়, তাদের দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।’

মনির হোসেন মাহিন/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।