আবেদন করেও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি ২ হাজার শিক্ষার্থী
![আবেদন করেও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি ২ হাজার শিক্ষার্থী](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/buet-kb-20240225114815.jpg)
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেননি প্রায় দুই হাজার ভর্তিচ্ছু। ভর্তি পরীক্ষার জন্য বাছাইয়ে যোগ্যদের মধ্যে যা প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বুয়েটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই শিফটে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম শিফটে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা এবং দ্বিতীয় শিফট বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১৭ হাজার ৪২৮ জনকে যোগ্য বিবেচনা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। তারাই প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ছাত্র ১২ হাজার ৫৫৫ জন এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৮৭৩ জন।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রতি শিফটে ভর্তিচ্ছু ছিলেন ৮ হাজার ৭১৪ জন। তবে প্রথম শিফটে পরীক্ষা দিয়েছেন ৭ হাজার ৭১৩ শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় শিফটে ৭ হাজার ৭৩০ জন।
দুই শিফটে মোট উপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যার ১৫ হাজার ৪৪৩ জন। অর্থাৎ অনুপস্থিত ছিলেন এক হাজার ৯৮৫ শিক্ষার্থী। শতাংশের হিসাবে উপস্থিতির হার ৮৮ দশমিক ৬ শতাংশ, অনুপস্থিত ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।
আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।
এদিন মডিউল ‘এ’- এর ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং মডিউল ‘বি’- এর ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩১ মার্চ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ওইদিন ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত বছরের মতো এবারও বুয়েটে এক হাজার ৩০৯টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য তিনটি এবং স্থাপত্য বিভাগে একটি করে সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছে।
এএএইচ/কেএসআর/এমএস