রোভার স্কাউটের কার্যক্রম না থাকলেও ফি নিচ্ছে শাবিপ্রবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ৩১ মার্চ ২০২৪

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) রোভার স্কাউটের কোনো কার্যক্রম না থাকলেও প্রতি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হচ্ছে। সেবা প্রদান না করে ফি নেওয়ায় এ খাতের টাকা কোথায় ব্যয় হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রতি বছর দুটি সেমিস্টার সম্পন্ন করতে হয় শিক্ষার্থীদের। প্রতি ছয় মাস অন্তর তাদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হয়। এর মধ্যে রোভার স্কাউট বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০ টাকা করে ফি আদায় করা হয়। এ হিসাবে প্রতি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ বাবদ এক লাখ ষাট হাজারের বেশি টাকা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অথচ রোভার স্কাউটের কোনো কার্যক্রম নেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

রোভার স্কাউটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জাগো নিউজ। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকে রোভার স্কাউট গঠন নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়। তবে কোনো দৃশ্যমান কমিটি গঠন করা হয়নি বা এখন পর্যন্ত এর কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

সেবা না দিয়ে ফি নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেরাব সাদাত বলেন, রোভার স্কাউট বাবদ প্রতিবছর মোটা অংকের টাকা গচ্ছিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় কোষাগারে। কিন্তু এত বছরেও রোভার স্কাউট গঠন কিংবা এই সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম চোখে না পড়ায় এই খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ আসলে কী করা হয় তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসে রোভার স্কাউটের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। তবে আমি শুনেছি শিক্ষার্থীদের ফান্ডগুলো এক জায়গায় হয়ে যায়। এক পারপাসের টাকা শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য পারপাসে ব্যয় হতে পারে। আমি এ বিষয়ে স্পষ্ট না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুর রহমান বলেন, কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে নথি দেখে বলতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে কল দিলে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হয় সেটা এই মুহূর্তে আমার জানা নেই। রোভার স্কাউট বাবদ টাকা নিলে কার্যক্রম অবশ্যই থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর এ বিষয়ে খতিয়ে দেখবো।

নাঈম আহমদ শুভ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।