রাবিতে মাদক সেবনে নিষেধ করায় সংঘর্ষ, আহত ৩

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ১৬ মে ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অন্য বিভাগের শিক্ষার্থী মাদক সেবনকালে নিষেধ করায় দুপক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পিছনের মুক্তমঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সৌরভ শেখ বন্ধন। গ্রাফিক্স অ্যান্ড ডিজাইন ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান পুলক। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেন্টিং ওরিয়েন্টাল আর্ট ও প্রিন্ট মেকিং বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী অপু।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ শেখ বন্ধন মাদক সেবন করতে চারুকলা অনুষদের পেছনের মুক্তমঞ্চে যান। এসময় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী পুলক তার পরিচয় জানতে চান এবং সেখানে মাদক সেবন করতে নিষেধ করেন । এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এতে পুলকের কয়েকজন বন্ধুও সেখানে জড়ো হন। এক পর্যায়ে বন্ধনকে পেছন থেকে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়।

এসময় বন্ধন তার বন্ধুদের জানালে ১০-১২ জন চারুকলা অনুষদে এসে জড়ো হোন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান পুলক হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং অপুর গালের এক পাশ কেটে যায়। পরে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে তাদেরকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে সৌরভ শেখ বন্ধন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা তিন বন্ধু গাড়ি নিয়ে চারুকলা অনুষদে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এসময় পুলক ও তার বন্ধুরা এসে আমাদের বাসা কোথায়, কেন এসেছি এখানে এসব জিজ্ঞেস করে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে তাদের পরিচয়ও জানতে চাই। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে তাদের মধ্যে একজন পেছন থেকে আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে আমার বন্ধুদের জানালে আমাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসে।

এসময় মাদক সেবনের কথা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।

অন্যদিকে মেহেদী হাসান পুলক বলেন, আমাদের চারুকলা অনুষদে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাস চলে। এসময় কিছু শিক্ষার্থী সবার সামনে মাদক সেবন করছিলেন। আমি তাদের পরিচয় জানতে চাই এবং মাদক সেবন করতে নিষেধ করি। এক পর্যায়ে এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে তর্কে জড়ায় তারা। এসময় বন্ধনের কিছু বন্ধু বাঁশ, লাঠি দিয়ে আমাদের আঘাত করেন। আমার হাতে অবস্থা খুব একটা ভালো না।

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ঘটনার কথা জেনে এখানে আসার পর শুনি বহিরাগতরা বসে মাদক সেবন করছিলেন। আমাদের কিছু ছাত্র ওখানে বসা ছিলেন। তারা মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে সেখানে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর আমি সেখানে দুজন সহকারী প্রক্টর পাঠাই। তারা আহতদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অফিসে নিয়ে আসেন। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করি। পরে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

মনির হোসেন মাহিন/এনআইবি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।