ঢাবিতে ‘শিশুদের মনের যত্ন: মনোবল বৃদ্ধির উপায়’ শীর্ষক কর্মশালা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ১৮ মে ২০২৪

শিশুদের মধ্যে আশঙ্কাজনকহারে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়ক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট অডিটোরিয়ামে আঁচল ওয়েলবিং কর্নার ও নাসিরউল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে চার ঘণ্টাব্যাপী ‘শিশুদের মনের যত্ন: মনোবল বৃদ্ধির উপায়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় ৭০ জন অভিভাবক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী, অধ্যাপক জোহরা পারভীন, পিএইচডি ফেলো ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সাবিহা জাহান এবং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা খাতুন কর্মশালায় বক্তব্য দেন।

কর্মশালা প্রসঙ্গে অধ্যাপক কামাল চৌধুরী বলেন, আমরা অভিভাবকদের কিছু টিপস অ্যান্ড টুলস দিতে চেষ্টা করবো। কেউ যদি নিজ থেকে তাদের পরিবর্তন চায় এবং আমাদের কথাগুলো গ্রহণ করে তখন তারা এখান থেকে হেল্পফুল কিছু পেতে পারে। যেটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকদের আবেগিক সম্পর্কের ভিত মজবুত না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই তারা জীবন সম্পর্কে অসচেতনতাবশত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। এ ধরনের কর্মশালা শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের যত্নশীল করে তুলবে।

জোহরা পারভীন বলেন, আমাদের পৃথিবীটা বৈশ্বিক গ্রামে রূপান্তরিত হওয়ার জন্যই একটা গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। গত দুই বছরে এই পরিবর্তনের মাত্রা বেশি। এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে তার পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে পরিবেশ, সংস্কৃতি ও এখনকার ধারা। কর্মশালাটি এই বিষয়ে সচেতনতা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করবে।

ঢাবিতে ‘শিশুদের মনের যত্ন: মনোবল বৃদ্ধির উপায়’ শীর্ষক কর্মশালা

জোবেদা খাতুন বলেন, বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে। আমাদের দেশের ইকোনোমিকাল ক্রাইসিসের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পিতা-মাতা উভয়কেই কাজ করতে হচ্ছে। মোবাইল ফোন বাচ্চাদের পাশাপাশি বড়রাও ব্যবহার করছে। আমাদের কাছ থেকে বিষয়গুলো সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা ও গল্পগুলো জেনে তারা উপকৃত হবে।

সাবিহা জাহান বলেন, কর্মশালাটিতে অতিথিদের অভিজ্ঞতা ও গল্পগুলো শুনে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন নিয়ে আসা যেতে পারে। আঁচল ওয়েলবিং কর্নারের এই আয়োজন প্রশংসনীয়। আগামীতে এ রকম আরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা আয়োজনের ব্যপারে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

আয়োজনটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে টণ্ডমণ্ড, খাস ফুড, গিকি সোশ্যাল, ফোরএম টিভি ইউএসএ, লিভিং উইথ ওয়েলনেস, স্টাইজেন ও পিসিফাই ছিল। কর্মশালায় কীভাবে শিশুদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও যত্নশীল হয়ে আবেগিক বন্ধনের দিকটি দৃঢ় করে গড়ে তোলা যায় সে বিষয়ে বিস্তর ধারণা লাভ করেছেন বলে জানান অভিভাবকরা। বক্তৃতার শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকায় বক্তাদের সঙ্গে অভিভাবকদের সরাসরি যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছিল বলেও জানান তারা।

‘লেট আওয়ার কিডস ক্লোসম’ নীতিবাক্যটিকে ধারণ করে যাত্রা শুরু করা আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য দেশজুড়ে আত্মহত্যার হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। সে লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন সমীক্ষা করে এবং সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।

এমএইচএ/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।