বাকৃবি

আলামিন-প্রাণোজিতের দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হয় দেড় হাজার কাপ চা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বাকৃবি
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ২০ মে ২০২৪

সন্ধ্যা হতেই চায়ের আড্ডায় মেতে ওঠে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) জব্বারের মোড় ও শেষ মোড়। ক্যাম্পাসে অসংখ্য চায়ের দোকান থাকলেও শিক্ষার্থীদের পদচারণা বেশি জব্বারের মোড়ের আওয়াল স্টোরের আলামিন হোসেন ও শেষ মোড়ের প্রাণোজিত চন্দ্র পালের চায়ের দোকানে। এ দুটি দোকানে দৈনিক দেড় হাজার কাপ চা বিক্রি হয়।

সারাদিনের ক্লাস, ল্যাব, টিউশনি শেষে বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলিত হন চায়ের দোকানগুলোতে। সন্ধ্যা শেষে রাত যত গভীর হতে থাকে দোকানগুলোতে ভিড়ও ততই বাড়তে থাকে। যা চলে একদম মধ্যরাত পর্যন্ত।

আওয়াল স্টোরের আলামিন হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার দোকানে ২০-২২ রকমের চা পাওয়া যায়। প্রতিদিন ৭০০-৮০০ কাপ চা বিক্রি হয়। যার বেশিরভাগই দুধ চা। চায়ের জন্য প্রতিদিন দুধের প্রয়োজন হয় এক থেকে দেড়মণ পর্যন্ত। তার চায়ের দোকানের নতুন আকর্ষণ খেজুর গুড়ের চা। এক কাপ গুড়ের চা তিনি বিক্রি করেন ১৫ টাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তো বটেই, জব্বারের মোড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় আলামিনের চায়ের দোকানে ভিড় লেগেই থাকে।

আওয়াল স্টোরে চা পান করতে আসা তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. শোয়েব বলেন, আওয়াল ভাইয়ের দোকানের চায়ের স্বাদ অতুলনীয়। ক্লাস-পরীক্ষার ফাঁকে যখনই সময় পাই, এখানে চলে আসি।

আল নুর তারেক নামের আরেক ছাত্র বলেন, আলামিন ভাইয়ের চা অন্য লেভেলের। আমাদের ক্যাম্পাসে ১০-১৫টি চায়ের দোকান রয়েছে। তবে এ দোকানের চা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তিনি চায়ের মধ্যে দুধ বেশি পরিমাণে দেন যা চায়ের স্বাদ অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।

বাকৃবি, চা, পেশা, বিশ্ববিদ্যালয়

অন্যদিকে বাকৃবির শেষ মোড়ে অবস্থিত প্রাণোজিত চন্দ্র পালের চায়ের দোকানে চায়ের চুমুকে আড্ডা চলে মাঝরাত পর্যন্ত। প্রাণোজিতের চায়ের দোকানেও বহিরাগতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। চায়ের পাশাপাশি প্রাণোজিতের দোকানের অন্যতম আকর্ষণ লাচ্ছি। নিজের হাতে বানানো দই, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, লেবু ও চিনি দিয়ে লাচ্ছি বানান প্রাণোজিত। এই গরমে ফ্রেশ ও ঠান্ডা লাচ্ছি খেয়ে প্রাণ জুড়াতে ভিড় জমান শিক্ষার্থীরা।

প্রাণোজিত চন্দ্র জাগো নিউজকে বলেন, আমি প্রতিদিন ১৫০-২০০ গ্লাস লাচ্ছি বিক্রি করি। প্রতি গ্লাস লাচ্ছির দাম মাত্র ৩০ টাকা। আমার দোকানে প্রতিদিন চা বিক্রি হয় ৬০০-৭০০ কাপ।

বাকৃবির পঞ্চম বর্ষের নেপালি শিক্ষার্থী বিক্রম ধোজু বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আমি প্রাণোদার দোকানে চা পান করি। বাকৃবিতে যখন প্রথম আসি তখন কয়েকটি দোকানে চা পান করেছি, কিন্তু সেগুলো আমার কাছে ভালো লাগেনি। এরপরই সন্ধান মেলে প্রাণোদার। তার চায়ের অতুলনীয় স্বাদ আমাকে তার নিয়মিত কাস্টমার করে নিয়েছে।

শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান বলেন, প্রাণোদার চায়ের স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। তার দোকানে চায়ের পাশাপাশি লাচ্ছিও পাওয়া যায়।

আসিফ ইকবাল/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।