এসএসসি

হলে কড়া গার্ড, গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কেন্দ্র ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২৫

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর কেন্দ্রে গণিত পরীক্ষা শেষে রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ভাঙচুর ও বলাখাল-রামপুর সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় কড়া গার্ড দেওয়ার অভিযোগ এনে পরীক্ষা শেষে উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙচুর করে। এরপর বলাখাল-রামপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ এবং রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটক ভাঙচুর করে। এসময় কেন্দ্র সচিবসহ শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

হলে কড়া গার্ড, গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কেন্দ্র ভাঙচুর

কয়েকজন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, ম্যাজিস্ট্রেটসহ সরকারি কর্মকর্তারা সারাক্ষণ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। হলে অতিরিক্ত গার্ড দেওয়া হয়। এতে মানসিক চাপে পড়ে পরীক্ষার্থী। ফলে তাদের গণিত পরীক্ষা খারাপ হয়।

রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতাহের হোসেন বলেন, পরীক্ষার্থীরা আমার বিদ্যালয়ের বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল ও গ্লাসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

পরীক্ষা কেন্দ্র হাজীগঞ্জ-৬ এর কেন্দ্র সচিব ও রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন সরকার জানান, আজ নিয়মিত ও অনিয়মিতসহ ২৫৪ জন শিক্ষার্থী গণিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হৈ-হুল্লোড় শুরু করে।

হলে কড়া গার্ড, গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কেন্দ্র ভাঙচুর

কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, যেহেতু পরীক্ষা চলমান এবং পরীক্ষার্থীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক, বিষয়টি অভিভাবকদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শরীফুল ইসলাম/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।