হোটেলে বাগবিতণ্ডা, কর্মচারীর গায়ে গরম মাড় ঢেলে দিলেন বাবুর্চি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ১১ মে ২০২৫

কুমিল্লার চান্দিনায় সফিউল্লাহ (১৫) নামের একজন হোটেল কর্মচারীর গায়ে ভাতের গরম মাড় ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবুর্চির বিরুদ্ধে। এতে ওই কর্মচারীর শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ ঝলসে গেছে। এ ঘটনায় কাশেম মিয়া (৩৫) নামের ওই বাবুর্চিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন হোটেলমালিক ও কর্মচারীরা।

রোববার (১১ মে) বিকেল পৌনে ৩টায় উপজেলা সদরের পূর্ব বাজারের ‘রনি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’ নামের একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হোটেল কর্মচারী সফিউল্লাহ জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের খিরাইকান্দি গ্রামের অলিউল্লাহর ছেলে।

অভিযুক্ত বাবুর্চি কাশেম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগর উপজেলার নূরপুর গ্রামের কাদের মিয়ার ছেলে।

হোটেলমালিক সফিকুল ইসলাম বলেন, হোটেলের রান্নাঘরে ভাতের মাড় ছ্যাঁকার সময় কর্মচারী সফিউল্লাহর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় বাবুর্চি কাশেম মিয়ার। একপর্যায়ে সফিউল্লাহর গায়ে ভাতের গরম মাড় ঢেলে দেন তিনি। চিৎকার শুনে আমি পেছনে গিয়ে এ ঘটনা দেখি। তাৎক্ষণিকভাবে সফিউল্লাহকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বাবুর্চিকে আটক করে থানায় খবর দেওয়া হয়।

আহত সফিউল্লাহর বাবা কৃষক অলিউল্লাহ বলেন, ‌‘আমার চার সন্তানের মধ্যে সফিউল্লাহ দ্বিতীয়। মাদরাসায় হেফজ বিভাগে পড়াচ্ছিলাম। লেখাপড়ায় অমনোযোগী থাকায় তিন মাস আগে তাকে চান্দিনার রনি হোটেলে দেই। আমার ছেলে যদি অপরাধ করতো, হোটেলের মালিক বা আমাকে বলতে পারতো বাবুর্চি। এভাবে আমার ছেলের শরীরে ভাতের মাড় ঢেলে শাস্তি দিলো কেন? আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফারজানা আক্তার বলেন, আহতের শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই পুলিশ পাঠিয়ে বাবুর্চিকে হেফাজতে আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।