টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ, ৩৬ ঘণ্টা পর নারীর মরদেহ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, ২৯ জুলাই ২০২৫

টঙ্গীতে ঢাকনাবিহীন ড্রেনে পড়ে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি (২৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর শালিকচুড়া বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার (২৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ড্রেনে পড়ে যান তিনি।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি যে ড্রেনটিতে পড়েছিলেন সে ড্রেনের পানি টঙ্গীর ওই বিলটিতে গিয়ে নামতো। সকালে ওই বিলে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে তার মরদেহটি পাওয়া যায়।

ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা। তিনি মৃত ওলিউল্লাহ আহাম্মদ বাবলুর মেয়ে।

টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার

জ্যোতি হোসেন মার্কেট এলাকায় বাস করতেন ও একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ঘটনার সময় তিনি ওষুধ সরবরাহের কাজে টঙ্গী হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টঙ্গী ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে থাকা ড্রেনের একটি স্থানে স্লাব না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত ছিল। সেখানে কর্তৃপক্ষ কোনো স্লাব বসায়নি, এমনকি সতর্কতা মূলক কোনো সাইনবোর্ডও ছিল না। হেঁটে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত ওই নারী খোলা ড্রেনের ভেতর পড়ে যান। একপর্যায়ে পানির প্রবল স্রোতে তিনি নিখোঁজ হন।

ঘটনার পরপরই গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।

স্থানীয়রা বলেন, বিআরটি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। এমন ব্যস্ত এলাকায় ড্রেনের স্লাব না দিয়ে তা খোলা রেখে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ফেলা দেওয়া হয়েছে।

নিহতের বড় শোভন জানান, মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বোনকে বিভিন্নভাবে খোঁজ করতে থাকি। একপর্যায়ে সোমবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে বোনের ব্যবহৃত জুতা পেয়ে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই।

মো. আমিনুল ইসলাম/এমএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।