নোয়াখালীতে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় প্রকাশ্যে সুব্রত চন্দ্র দাশ (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে চরজুবলী গ্রামের আটকপালিয়া-পরিষ্কার বাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুব্রত চন্দ্র দাশ উপজেলার চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর বজলুল করিম গ্রামের চিরু রঞ্জন দাশের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সুব্রত চন্দ্র দাশের স্ত্রী রিকতা রানী দাশ চর জব্বর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চাকরি করেন। সুব্রত প্রতিদিন স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে সকালে কর্মস্থলে পৌঁছে দিতেন, আবার দুপুরে গিয়ে নিয়ে আসতেন। সোমবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সুব্রত তার স্ত্রীকে কর্মস্থল থেকে আনার জন্য মোটরসাইকেলযোগে পরিষ্কার বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুব্রতর মোটরসাইকেল আট কপালিয়া-পরিষ্কার বাজার সড়কের পালোয়ান বাড়ির সামনে পৌঁছালে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে অজ্ঞাতনামা একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে তার মাথায় এলোপাতাড়ি কোপায় এবং পরে গলা কেটে হত্যা করে সড়কের ওপর মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের মানুষজন থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের চাচা লিটন চন্দ্র দাস বলেন, সুব্রত আমার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে। সে একসময় ব্যবসা করতো। স্ত্রীর চাকরির কারণে কয়েক বছর আগে ব্যবসা ছেড়ে দেন। আজ দুপুরে মোটরসাইকেলে কর্মস্থল থেকে স্ত্রীকে আনতে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। কারা কী কারণে এমন ঘটনা ঘটাল, তা আমরা বুঝে উঠতে পারছেন না। আশপাশের লোকজন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়ক দিয়ে যেতে দেখেছেন। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে যে ওই অটোরিকশায় দুর্বৃত্তরা এসে তার ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
সুবর্ণচরের চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মরদেহ মঙ্গলবার সকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এনএইচআর/জেআইএম