রংপুরে একদিনের ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম
রংপুরের বাজারে একদিনের ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে দাম কমেছে ডিমসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির।
এছাড়া চাল, ডাল আটা, ময়দা, মাছ ও মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর নতুন মুড়ি কাঁটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা এবং পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) পুরাতন পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা বিক্রি হলেও আজ হুট করে দাম বেড়েছে। মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল মজিদ ভুট্টু জাগো নিউজকে বলেন, পেঁয়াজ আমদানির খবরে গত দু’দিন দাম একটু কমে এসেছিল। তবে আজ সকালে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ গত সপ্তাহের মতোই ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মুরগির বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৫০-২৭০ থেকে কমে ১৪০-১৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল আমিন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম আরও কমেছে। বাজারে এখন মুরগির সরবরাহ পর্যাপ্ত। সে তুলনায় বিক্রির পরিমাণ কম।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি টমেটো ৮০-৯০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ৫৫-৬০ টাকা, ঝিংগা ৫০-৬০ টাকা, মুলা ৩০-৩৫ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৩৫ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) আগের মতোই ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০-২৫ টাকা, দুদকুষি ৪০-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড় ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৬০-৭০ টাকা, শিম আগের মতোই ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা, প্রতিকেজি ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, সব ধরনের শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ১২০-১৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৪০ টাকা, দেশি রসুন ৮০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লালকুঠি বাজারের সবজি বিক্রেতা নুর ইসলাম বলেন, অধিকাংশ সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। বাজারে এখন শীতকালীন সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত।
এদিকে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের তুলনায় ৩৮-৪০ টাকা থেকে কমে ৩৬-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমে ১৮-২০, টাকা টাকা, বাজারে আসা নতুন আলু ৩৫-৪০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, ঝাউ আলু গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১৯৫-২০০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল আগের মতোই (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১০০-১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৫-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৬৫-৭০ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭০-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এমএন/জেআইএম