নওগাঁ সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নওগাঁ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অস্থায়ী চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ১৪ বিজিবি পত্নীতলা ও ১৬ বিজিবি নওগাঁ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা ধামইরহাট, সাপাহার ও পোরশা। এসব এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ এবং দুষ্কৃতিকারীদের পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে ১৪ ও ১৬ বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান, অবৈধ পণ্য পাচার এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নানা প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করে দিন-রাত দায়িত্ব পালন করছে বিজিবির সদস্যরা।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ ব্যাটালিয়ন (১৪ ও ১৬ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিভিন্ন বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও চেকপয়েন্টে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সীমান্তের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সীমান্তের সব যাতায়াত পয়েন্টে একাধিক চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাটালিয়ন সদর থেকে মোবাইল টহলের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ পথগুলোতেও কঠোর নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

নওগাঁ ব্যাটালিয়ন (১৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম মাসুম এবং পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার, নজরদারি বৃদ্ধি, বিশেষ চেকপোস্ট এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ এবং দুষ্কৃতিকারীদের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে বিজিবির এই তৎপরতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।

আরমান হোসেন রুমন/এনএইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।