পঞ্চগড়ে হাড় কাঁপানো শীত, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড়ে কমেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে হিমালয় কন্যা খ্যাত পঞ্চগড়। সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাস। সব মিলিয়ে জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। দুপুরের দিকে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাপ ছড়ানোর আগেই ঢেকে যায় ঘনকুয়াশার আড়ালে। তেঁতুলিয়াসহ জেলার আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা কুয়াশার দাপটে ঢাকা থাকছে সূর্য। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে শিশিরের মতো কুয়াশা ঝরছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দিনের (সর্বনিম্ন) তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দিনের (সর্বোচ্চ) তাপমাত্রা কমে ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি থেকে কমে রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি।

মঙ্গলবার ভোর থেকেই ঘনকুয়াশায় ঢেকে ছিল গোটা এলাকা। সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। বুধবারও সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশার চাদরে ঢেকে ছিল গোটা এলাকা। সড়ক মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, দিনের বেশিরভাগ সময় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে এলাকা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং এই জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলের নির্দিষ্ট কোন স্তরে জমাট বেঁধে বরফে পরিণত হয়। অতঃপর জমাট বাধা বরফ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে বেয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের প্রভাব জমাট বাধা বরফ গলে যায়। এজন্য দিনের বেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পরিবেশ।

আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি থেকে কমে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। চলতি সপ্তাহে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

সফিকুল আলম/এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।