চরম হতাশায় দিন কাটছে নেত্রকোনার বানভাসিদের


প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৬

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী পাঁচ হাজার মানুষ। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট পানিতে ডুবে গেছে। স্কুল-মাদরাসা, মসজিদ-মন্দির, হাট-বাজার হুমকির মুখে।

কংশ, উব্দাখালী, গোমাই নদীর পানি মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যেতে হচ্ছে নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এভাবে চলতে থাকলে উপজেলার সমগ্র অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম হাদিছুজ্জামান হাদিছ জাগো নিউজকে জানান, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন, পরিলাকুল, চৌহাট্টা, কান্দাপাড়া, কেশবপুর, বড়ইউন্দ, গোবিন্দপুর, রাজনগর, বাউসারী, যাত্রাবাড়ী, নয়াপাড়া, চেমটি, দত্তখিলা, নাগারগাতি, হোসেনপুর ও মিরাজপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। এসব গ্রামের মধ্যে মিরাজপুর, হোসেনপুর, চৌহাট্টা কেয়ারপল্লী, কেশবপুর গুচ্ছগ্রাম ও গোবিন্দপুর চরাঞ্চলের বাড়ি-ঘর পানিতে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।

এদিকে, পোগলা ইউনিয়নের রামপুর, রাণীগাও, পুটিজানা, সদর ইউনিয়নের হরিণধরা, নোয়াগাও, নাগডরা, রামশিংপুর, নানীয়া, বিশরপাশা ও রংছাতি ইউনিয়নের কৃষ্টপুর, রায়পুর ও নয়াপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পানিবন্ধী শিশুরা।

স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠে নেই। চরম হতাশায় দিন যাচ্ছে পানিবন্ধী মানুষদের। নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস বড়খাপন ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে থাকার জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার জাগো নিউজকে জানান, জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলার কোনো নদীতেই বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

তবে নেত্রকোনা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক বিলাশ চন্দ্র পাল জাগো নিউজকে জানান, জেলার ঝারিয়া-ঝাঞ্জাইল কংশ নদীর পানি বিপদ সীমার ১০০ সেন্টিমিটার কলমাকান্দার ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য নদীর পানি বাড়ছে। এছাড়াও প্রবল বর্ষণে নেত্রকোনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বন্যায় কোথাও কোনো ফসলের ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি।

কামাল হোসাইন/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।