১১ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন রাঙ্গামাটি
শনিবার টানা ১১ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল জেলা সদরসহ কয়েক উপজেলা। সকাল ৭টায় বিদ্যুৎ চলে গিয়ে আসে সন্ধ্যা ৬টায়। আবার ১৫ মিনিট পর চলে গিয়ে বিদ্যুৎ আসে ১০ মিনিট পর।
এভাবে প্রতিনিয়ত সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ রাঙ্গামাটিবাসী। এতে ব্যাহত হচ্ছে শহরসহ গোটা জেলায় স্বাভাবিক জনজীবন ও কাজকর্ম।
প্রতি শুক্র ও শনিবার দিনব্যাপী বিদ্যুৎহীন থাকা ছাড়াও প্রতিনিয়ত দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বিপর্যস্ত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। অতিষ্ঠ স্বাভাবিক জনজীবন।
জেলা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ জানায়, চন্দ্রঘোনা-রাঙ্গামাটির ৩৩ কেভি লাইনের আশপাশের গাছপালা কর্তন কাজের জন্য শনিবার সকাল ৭টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার অন্তর্গত এলাকা, জুরাছড়ি, বরকল উপজেলা ও কাপ্তাইয়ের চিপার হাউস এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
এলাকার লোকজন জানায়, প্রতিনিয়ত দিন রাত টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার বিভ্রাট একেবারে অসহণীয়। সরকারি ছুটির দিন প্রতি শুক্র ও শনিবার সংযোগ লাইনে মেরামতের কাজের নামে দীর্ঘ সময়ব্যাপী বিদ্যুৎহীন রাখা হচ্ছে শহরসহ জেলার আশেপাশে উপজেলা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক ও দৈনন্দিন কাজকর্ম।
রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, সম্প্রতি ঝড়ো-হাওয়ার কারণে গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনের তারের ওপর পড়ে। সরকারি ছুটির দিনে এসব ডালপালা কর্তন ও অপসারণ কাজ করা হয়ে থাকে।
এছাড়া প্রায় সময় বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ লাইন স্থাপন ও মেরামতের কাজ করতে হয়। সেই সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে এসব কথা বলা হলেও অপরপক্ষে গ্রাহকরা বলছেন, কারণে অকারণে যখন তখন বিদ্যুতের নাজুক অবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের নানা অনিয়ম ও ঘাপলা রয়েছে। কিছু বলতে গেলে তখন নানা অজুহাত দেখায় তারা। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তবু রাঙ্গামাটিবাসীকে পোহাতে হচ্ছে বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে।
সুশীল চাকমা/এএম/আরআইপি