লিপু হত্যা, ২ আসামির ফাঁসি ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৭

কুষ্টিয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চাঞ্চল্যকর তৌহিদুল ইসলাম লিপু (২১) অপহরণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি ও নয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুর একটায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এবিএম মাহমুদুল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় চাঞ্চল্যকর এ অপহরণ ও হত্যা মামলার ১৮ জন আসামির মধ্যে ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

অপহরণ ও হত্যার শিকার তৌহিদুল ইসলাম লিপু কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার বর্তমান অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী জোনের ডিজিএম ওয়াহিদুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা সামসুন্নাহার লিলি দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল ইসলাম বাপ্পী ও মো. সুমন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জুহাইম খন্দকার ওরফে শুভ, হৃদয়, সুমন, আলিফ, সাজেদুল, নয়ন, সজীব, মিনহাজ ও মিলন।

এছাড়াও আসামি আবু সাঈদের দশ বছর কারাদণ্ড এবং আসামি মাহাবুব আলম, রিপন হোসেন ও সুজন মাহামুদের তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। দোষি প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত চার আসামি আহসান হাবিব, আনোয়ারা বেগম, শাহিনুল ইসলাম ওরফে কল্লোল হোসেন ও আবু তালেবকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মো. সুমন ছাড়াও আলিফ, আবু তালেব, সাজেদুল, নয়ন, সজীব, আবু সাঈদ, মিনহাজ ও মিলন এখনও পলাতক রয়েছেন।

কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধু বাপ্পীর সঙ্গে বাড়ি থেকে বাইরে বের হয় লিপু। এরপর বন্ধুদের দ্বারা লিপু অপহৃত ও হত্যার শিকার হয়। পাবনার ঈশ্বরদীর চরে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লিপুর লাশ ইট বেঁধে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। হত্যাকারীরা লিপুর পরিবারের কাছে তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় লিপুর বাবা ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলা দায়ের করেন।

আল-মামুন সাগর/এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।