পিইসির উত্তরপত্রের কোড ফাঁস : শিক্ষক বরখাস্ত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৮

মানিকগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার উত্তরপত্রের কোড নম্বর ফাঁস করে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়।

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ডাউটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্রের গোপন কোড নম্বর ফাঁস করে তার মামা তিল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলম হোসেন নিরীক্ষককে চাপ দিয়ে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা করেন। নিরীক্ষক টিপু সুলতান এতে রাজী না হলেও পরবর্তীতে দেখা যায় ওই শিক্ষার্থীর ইংরেজি বিষয়ে প্রাপ্ত ৬১ নম্বর কেটে ৮২ করা হয়েছে। এতে নিরীক্ষক আপত্তি জানালে ঘটনা জানাজানি হয়।

পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। সাটুরিয়া উপজেলার সিনিয়র সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতুল চন্দ্র সরকারকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কল্পনা রানী ঘোষ ও কানিজ ফাতেমাকে সদস্য করা হয়।

দুদিন পরে তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তিল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও উত্তপত্রের নিরীক্ষক টিপু সুলতান, প্রধান পরীক্ষক সাইদুর রহমান ও মোশারফ হোসেন এবং সাটুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী দিপঙ্কর সরকারকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রতুল চন্দ্র সরকার জানান, কোড নম্বর ফাঁস করে একজন পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ানোর চেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তবে কোড নম্বর কিভাবে ফাঁস হলো তা তারা নিশ্চিত হতে পারেননি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্ত আলেয়া ফেরদৌসী শিখা বরখাস্ত এবং কারণ দর্শানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোড নম্বর ফাঁস করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান,পিইসি পরীক্ষার গোপন কোড নম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সংরক্ষিত থাকে। তার অফিস থেকেই এই কোড নম্বর ফাঁস হয়েছে। তাই শিক্ষা কর্মকর্তাকেও তারা জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানান।

বি.এম খোরশেদ/আরএআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।