এমপি বাসন্তী চাকমাকে অপসারণ করা না হলে ৩ দিন হরতাল
জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে অপসারণের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম নামে একটি সংগঠন।
এ সময়ের মধ্যে তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে অপসারণসহ আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা না হলে টানা তিন দিনের হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়। একই সময়ে বাসন্তী চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পার্বত্য অধিকার ফোরামের ব্যানারে খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শাপলা চত্বরে বাসন্তী চাকমা এমপির কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

পরে সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিরাজ করছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে সংসদে বাসন্তী চাকমা পার্বত্য অঞ্চলকে নিয়ে উগ্র-সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে পাহাড়ে অশান্তির দাবানল ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। সমাবেশ থেকে বাসন্তী চাকমাকে ক্ষমা চেয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাহার, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার ও সকল রাষ্ট্রীয়-সামাজিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সাদ্দাম হোসেন, পার্বত্য অধিকার ফোরামের খাগড়াছাড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক এসএম হেলাল উদ্দিন ও বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে নির্ধারিত বক্তব্য প্রদানকালে সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা। তার এ বক্তব্যকে ঘিরে পাহাড়জুড়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো চলছে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/পিআর