করোনাভাইরাস : দিনাজপুরে পর্যবেক্ষণে সাতজন
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ভারত হয়ে চীন থেকে দেশে ফিরে আসা দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দুই শিক্ষার্থীসহ সাতজনকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
দুই শিক্ষার্থী হলেন পৌর শহরের থানাপাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য মো. মোস্তফা কামালের ছেলে আবু রায়হান ও পূর্বপাড়া আবু তাহেরের ছেলে রেজওয়ান কবির জেমি। এদের মধ্যে আবু রায়হান চীনের উহান শহর থেকে দুই হাজার কিলোমিটার দূরে উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
৩১ জানুয়ারি দুপুরে হিলি ইমিগ্রেন দিয়ে ভারত থেকে দেশে আসেন আবু রায়হান। রেজওয়ান কবির জেমি ৮ জানুয়ারি হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে আসেন।
দেশে আসার সময় রায়হানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মেডিকেল টিম। তার মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ না পাওয়ায় বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। নিজ বাড়িতে দুই সপ্তাহের জন্য তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
একইভাবে ৮ জানুয়ারি হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে আসা রেজওয়ান কবির জেমিকেও পর্যবেক্ষণে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও যে সময় জেমি দেশে ফিরেছেন সে সময় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাতে দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ও বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিরামপুর থানা পুলিশের ওসি তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করে পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দেন। সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার, জ্বরসহ শারীরিক কোনো সমস্যা হলে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ নিতে বলা হয় তাদের। ১৪ দিন বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকবে তারা।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন মো. আবদুল কুদ্দুস বলেন, তাদের এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পর্যক্ষেণের রাখার কথা বলেছি। চীন থেকে ফিরলেও তাদের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের লক্ষণ নেই। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী তাদেরকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত চীন থেকে আসা পার্বতীপুর কয়লা খনির পাঁচ চীনা শ্রমিক ও দুই বাংলাদেশিসহ সাতজনকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে দিনাজপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ শয্যার একটি ওয়ার্ড এবং একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/এএম/জেআইএম