বই পড়ে পুরস্কার পেল ৩ হাজার ৩৪১ শিক্ষার্থী

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত স্কুল ছাত্রছাত্রীদের বইপড়া কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে খুলনা মহানগরীর ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থীকে গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় পুরস্কার দিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
শুক্রবার পিটিআই খুলনা প্রাঙ্গণে এই পুরস্কার বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ওই শিক্ষার্থীদের স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরাপাঠক পুরস্কার এই চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রথম পর্বে ১৮টি স্কুলের ১,৬৩৯ জন শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় পর্বে ২৫টি স্কুলের ১৭০২ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ১,৮০৪ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার ৯৭৮ জন, অভিনন্দন পুরস্কার ৪৬২ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৯৭ জন। সেরাপাঠক পুরস্কার বিজয়ী ৯৭ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ১০জনকে প্রদান করা হয় ২ হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি করে বিশেষ পুরস্কার। এ ছাড়া লটারির মাধ্যমে ৪ জন অভিভাবককেও একই ধরনের বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়।
উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুল হক খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার (সাসটেইনেবলিটি) ফারজানা রহমান, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের খুলনা মহানগরের সাবেক সংগঠক। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান। কারণ, এখন তোমাদের বাবা-মা ও শিক্ষকরা বই পড়ার জন্য প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিচ্ছেন। আমাদের সময় এই বই পাওয়াটা এত সহজ ছিল না। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র তোমাদের স্কুলে স্কুলে গিয়ে বই পৌঁছে দিচ্ছে। তোমরা বই পড়বে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ২০৪১ সালে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ হবে তোমাদের হাত ধরেই।
আলমগীর হান্নান/জেডএ/জেআইএম