বরিশালে ভারতীয় নাগরিকসহ ১২ জন কোয়ারেন্টাইনে
বরিশালে ভারতীয় নাগরিকসহ ১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ভারতীয় ওই নাগরিক বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় তার এক স্বজনের বাড়িতে শনিবার বেড়াতে এসেছেন।
রোবাবার (১৫ মার্চ) দুপুর থেকে তাকে কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বখতিয়ার আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলায় দুজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ভারতের নাগরিক। আরেকজন ইতালিফেরত বাংলাদেশি। ভারতের ওই নাগরিক শনিবার আগৈলঝাড়ায় তার এক স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। রোববার বিষয়টি জানতে পেরে দুপুর থেকে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এছাড়া ইতালি থেকে এসছেন একজন। দেশে ফিরে শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি। শনিবার থেকে তাকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসা ১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে গৌরনদী উপজেলার রয়েছেন চারজন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার রয়েছেন তিনজন, হিজলা উপজেলার রয়েছেন দুজন, আগৌলঝাড়া উপজেলায় দুজন ও একজন রয়েছেন মুলাদী উপজেলায়। তারা গত ১৫ দিনের ব্যবধানে দেশে ফিরেছেন।
বাসুদেব কুমার দাস বলেন, গত ২ মার্চ ইতালি থেকে চারজন ঢাকায় আসার পর ৯ মার্চ বরিশালের গৌরনদীর গ্রামের বাড়িতে আসেন। ১০ মার্চ তাদের ইতালি থেকে ফেরার বিষয়টি জানতে পেরে ১১ মার্চ তাদের বাড়িতে চিকিৎসকের একটি দল পাঠানো হয়। চিকিৎসক দলটি তাদের পরীক্ষা করে দেখেন। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়নি। এরপরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদেরকে নিজ বাড়িতে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১ মার্চ সিঙ্গাপুর ও ৯ মার্চ সৌদিআরব থেকে বরিশালের হিজলা উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে এসেছেন দুজন প্রবাসী। সিঙ্গাপুর প্রবাসীকে ৯ মার্চ থেকে ও সৌদি প্রবাসীকে ১১ মার্চ থেকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও দুবাই থেকে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে এসেছেন তিনজন প্রবাসী। গত ২ মার্চ মালয়েশিয়াফেরত প্রবাসীকে ৯ মার্চ থেকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গত ১০ মার্চ সৌদি আরব থেকে ফেরা প্রবাসীকে ১৩ মার্চ থেকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। একই উপজেলায় গত ১১ মার্চ দুবাই থেকে ফিরেছেন এক প্রবাসী। তাকেও শনিবার থেকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ১১ মার্চ ইতালি থেকে মুলাদী উপজেলায় এসেছেন এক প্রবাসী। শনিবার থেকে তাকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, এই ১২ জন ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এ সময় বাইরে চলাফেরা ও সেখানে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদের। পরিবারের সদস্যদেরও চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের নিজ ঘর ও আঙিনা পর্যন্ত এলাকায় চলাফেরা সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
সাইফ আমীন/এএম/এমকেএইচ