হাতীবান্ধায় ৫০টি পরিবার পাঁচদিন ধরে অবরুদ্ধ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নে নিজের জমি দাবি করে নদী রক্ষা বাধের সরকারি রাস্তায় বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন এক কৃষক। এতে ৫০টি পরিবার ৫ দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বাঁশ ও কঞ্চির তৈরি বেড়া দিয়ে বন্ধ দেয়া হয়েছে। এতে করে অবরুদ্ধ পরিবারগুলোর পরিবার-পরিজন গত ৫ দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এলাকাবাসী জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার দালালপাড়া গ্রামে ছিট জমগ্রাম এলাকায় কৃষক নজরুল ইসলাম জমি সংক্রান্ত জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে গত ৫ দিন ধরে তাদের চলাচলের একমাত্র বাধের সরকারি রাস্তায় দুইটি বেড়া বসিয়ে তাদের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তার দুইদিকে গভীর পুকুর ও বাঁশঝাড় থাকার কারণে কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসতে পারছেন না তারা। সাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে পারছে ন না তারা। ফলে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হচ্ছে। প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টির তারা দ্রুত সমাধান চান।
অবরুদ্ধ পরিবারগুলোর মধ্যে প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন জাগো নিউজকে বললেন, তিস্তার বাধ হিসেবে তৈরি করা এ রাস্তাটি দিয়ে আমি গত ৪০ বছর ধরে যাতায়াত করে আসছি। আমার প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম হঠাৎ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় আমরা একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।
ওই এলাকার মসজিদের ইমাম প্রবীণ কবির হোসেন জাগো নিউজকে বললেন,নজরুল ইসলাম নিজের জমি দাবি করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা চলাচল করতে পারছি না।
রাস্তার উপরে বেড়া দেয়ার বিষয়ে কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি তার নিজের জমির উপর বেড়া দিয়েছেন। কোনো রাস্তার উপরে নয়। ১৫ শতক জমি আমি স্থানীয় বেলাল হোসেন ও লোকমান হোসেনের কাজ থেকে কিনেছি। সরকারি রাস্তাটি পুকুরের অংশে চলে গেছে। ১৫ শতকের মধ্যে আমার দখলে আছে মাত্র ৯ শত বাকি জমি উদ্ধারের জন্য আমি সবার হাতে পায়ে ধরছি কিন্তু সঠিক সমাধান না পেয়ে আমার জমির উপর বেড়া দিয়েছি।
এ বিষয়ে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মফিজ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে কয়েক বার গ্রাম্য শালিস হয়েছে। আজ আবারও সমাধানে জন্য বসেছি।
ফকিরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর ইসলাম মাস্টার জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন আগে এমন একটি অভিযোগ এসেছিল বিষয়টি ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মফিজ উদ্দিনকে সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রবিউল হাসান/এমএএস/এমএস