করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধাকে চিকিৎসা দেয়া ৩ চিকিৎসক করোনামুক্ত
কক্সবাজারে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধাকে চিকিৎসা দেয়া তিন চিকিৎসকের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ওমরাহ ফেরত ওই বৃদ্ধার গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) করোনা ধরা পড়ার পর থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওই তিন চিকিৎসক হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ওই তিন চিকিৎসকের পরীক্ষার রিপোর্ট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান।
তিন চিকিৎসকের করোনা রিপোর্ট নেগিটেভ আসার বিষয়টি ফেসবুক পোস্ট করে করোনায় আতঙ্কিত না হতে আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে গত ২৫ মার্চ তিন চিকিৎসকের নমুনা পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিআইটিআইডির ডা. শাকিল আহমদ। নমুনা প্রতিবেদন ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর ঢাকার বাইরে প্রথম চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিকে করোনা সন্দেহজনক রোগীর নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন দেয়। পরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিটও পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় পরীক্ষা।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের প্রথম করোনাভাইরাসে শনাক্ত বৃদ্ধাকে (৭৫) গত ১৮ মার্চ হতে চিকিৎসা করেন ওই তিন চিকিৎসক। তার অসুস্থতা দূর না হওয়ায় গত ২২ মার্চ করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তার শরীরের নমুনা ঢাকাস্থ আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। ২৪ মার্চ সেই নমুনার রিপোর্টে করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে ওই বৃদ্ধার। এরপর পরই চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা তিন চিকৎিসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়।
সদর হাসপাতালের তথ্য মতে, নানাভাবে ওই নারীর সংস্পর্শে আসা ১০ চিকিৎসক, আট নার্স ও তিন ক্লিনার হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। লকডাউন অবস্থায় রয়েছে কক্সবাজার, চট্টগ্রামে ওই বৃদ্ধার ছেলে-মেয়েদের বাসা। হোম কায়ারেন্টাইনে রয়েছেন স্বজনদের প্রায় সবাই।
এদিকে ওই বৃদ্ধার সেজ ছেলে মুঠোফোনে বলেন, ওমরাহ থেকে ফেরার পর মায়ের সংস্পর্শে বেশি যাওয়া আমার ছোট ভাই, ভাগিনা-ভাগনি, সঙ্গে থাকা বোন কারোই আলহামদুলিল্লাহ করোনার লক্ষণ দেখা যায়নি। সর্বশেষ মাকে চিকিৎসা দেয়া তিন ডাক্তারের নমুনা পরীক্ষাতেও নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। সে হিসেবে আমার মায়ের রিপোর্টটি নিয়ে একটু সন্দেহ কাজ করছে। আমাদের অনুরোধ মায়ের করোনা নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হোক। সঙ্গে আমরা যারা লকডাউন অবস্থায় রয়েছি তাদেরও পরীক্ষা করা হোক।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম