ধামরাইয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যুতে এলাকায় করোনা ভয়

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২০

ঢাকার ধামরাইয়ে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। অবস্থার অবনতি হয়ে শুক্রবার বিকেলে ও বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়িতে তাদের মৃত্যু হয়।

এরপর পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে না জানিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তাদের মরদেহ দাফন করে ফেলেন।

মৃত দুই ব্যক্তি হলেন- ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. লাল মিয়া (৫০) ও একই গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার মো. মোগর আলী (৫৫)।

ওই দুই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহে এলাকাবাসীর। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী বলছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই দুই ব্যক্তি মারা যান। এজন্য বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে গোপনে তাদের মরদেহ দাফন করেছেন পরিবারের সদস্যরা। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে পড়ে থাকলেও তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়নি। গোপনে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দিয়েছেন স্বজনরা।

তবে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এলাকাবাসীদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে নয়; বার্ধক্যজনিত কারণে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিফাত নুর বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কোনো ঘটনা ধামরাইয়ে ঘটেনি। সোমভাগ ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামে যে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন; তারা মূলত দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে ভুগছিলেন। শুক্রবার বিকেলে এবং বৃহস্পতিবার রাতে স্বাভাবিকভাবেই ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

ধামরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দ্বীপক চন্দ্র সাহা বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কোনো ঘটনা আমাদের জানা নেই।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল হক বলেন, দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা আমার জানা নেই। কিভাবে তারা মারা গেছেন তাও আমি জানি না।

আল-মামুন/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।