করোনা রোগীদের জন্য এক্স-রে ও ইসিজি দিলেন শাহীন চাকলাদার
করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য যশোর হাসাপতালে পোর্টেবল এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তিনি এই মেশিন হস্তান্তর করেন। করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীদের তৈরি আইসোলেশন ওয়ার্ডে মেশিন দুটি রাখা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, যশোর মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. গিয়াস উদ্দিন, যশোরের পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইয়াকুব আলী মোল্লা, যশোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরজাহান ইসলাম নীরা, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তা, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, যশোর শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু প্রমুখ।
মেশিন দুটি গ্রহণকালে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহীন বলেন, করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় রোগীরা ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে তাদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। কিন্তু করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা না থাকায় তাদের এক্স-রে ও ইসিজি অন্য রোগীদের মেশিনে করতে হতো। বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে জানিয়ে এ ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হয়। তিনি এই মেশিন দুটি সরবরাহ করায় এখন করোনা সন্দেহভাজন রোগীরা অন্য রোগীর সংস্পর্শে আসার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে গেল। রোগীরাও এতে বাড়তি ও নিরাপদ চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড করা হলেও আলাদা এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন না থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি ছিল। এজন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন আমাকে বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতার অনুরোধ করেছিলেন। রোগীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজের উদ্যোগে মেশিন দুটি কিনে হাসপাতালে দিলাম।
মিলন রহমান/এএম/পিআর