ঢাকাফেরত যুবককে গ্রামে ঢুকতে বাধা, পুরো গ্রাম লকডাউন
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ঢাকাফেরত এক যুবক (৩৮) করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে গ্রামে প্রবেশ করতে বাধা দেয় এলাকাবাসী। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই যুবক বাড়িতে প্রবেশ করেন। সেই সঙ্গে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
সোমবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করেছে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম। উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের বাঐচন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে সন্ধ্যার পর ওই গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঘটনার পর ওই গ্রামে মানুষের আসা-যাওয়া নিশেধ করা হয়েছে এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই যুবক ঢাকার নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় কাজ করেন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত রোববার ঢাকা থেকে নিয়ামতপুর উপজেলার বাঐচন্ডি গ্রামের বাড়ি এলে তাকে গ্রামে প্রবেশে বাধা দেয় এলাকাবাসী। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাড়িতে প্রবেশ করেন ওই যুবক। এরপর তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় ওই যুবকের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম। সেই সঙ্গে গ্রামে প্রবেশ বা বাইরে না যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ওই যুবক ঢাকার যে এলাকায় থাকতেন সেই এলাকা করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকা। তাই আমাদের সতর্কতার অংশ হিসেবে মেডিকেল টিম পাঠিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। নমুনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারীয়া পেরেরা বলেন, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই যুবককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পুরো গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। সেখানে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিয়ামতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, ওই গ্রামে কেউ আসা-যাওয়া করতে পারবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশ দিয়ে পাহারা বসানো হয়েছে।
নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. আখতারুজ্জামান আলাল বলেন, ওই যুবকের এক আত্মীয় মারা যাওয়ায় গ্রামে দেখতে আসছেন। তার সর্দি-কাশি ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হবে। আপাতত তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
আব্বাস আলী/এএম/জেআইএম