করোনায় মৃত পোশাককর্মীর বাড়ির পাশের ২৫ পরিবার খাদ্য সংকটে
পটুয়াখালীর দুমকিতে পোশাককর্মীর মৃত্যুর পর থেকে উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে ওই গ্রামের ৩০টি পরিবারের মধ্যে ২৫টি পরিবারের খাদ্য ও ওষুধ ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা চরম খাদ্য ও ওষুধ সংকটে পড়েছেন।
জানা গেছে, ওই পোশাককর্মীর বোনও (৩৯) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বশির আকন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় পোশাককর্মী দুলাল হাওলাদার মারা যান। বিকেলে আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। রোববার (১২ এপ্রিল) বিকেলে তার বোনের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুমকি উপজেলায় লকডাউন চলছে। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে গরিব এলাকা হলো আমাদের এই পাড়া। আমাদের এখানে কোনো সরকারি চাকরিজীবী নেই। এখানে সবাই দিনমজুর। দিন আনে দিন খায়। তারা ঘর থেকে নামতেও পারছে না আর খাদ্যদ্রব্যও পাচ্ছে না। অনেকে ওষুধও পাচ্ছে না।’
শনিবার ৫ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল পেয়েছে বশিরের পাঁচ পরিবার। তবে অন্য ২৫টি বাড়ির কেউ কিছু পাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাদল বলেন, ‘পোশাককর্মী দুলাল মারা যাবার পর থেকে এলাকা লকডাউন রয়েছে। কোনো জায়গা থেকে ত্রাণ বা সাহায্য-সহযোগিতা আসেনি। যারা বড়লোক আছেন তারা বেঁচে থাকবে কিন্তু যারা গরিব তারা কীভাবে বেঁচে থাকবে? খুব কষ্টে আছে নিম্ন আয়ের মানুষরা।’
এ বিষয়ে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বিপ্লবের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শঙ্কর কুমার বিশ্বাস এ বিষয়ে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আক্রান্ত এলাকায় দুইবার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টায় করোনায় আক্রান্ত নারীর জন্য ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছি। কেউ খাদ্য সংকটে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।
মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/এসআর/এমকেএইচ