করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মির্জাপুরে পুলিশের চেকপোস্ট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও মির্জাপুর-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে মহাসড়কের গোড়াই, সদরের পোস্টকামুরী ও আঞ্চলিক সড়কের ওয়ার্শী ব্রিজে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মির্জাপুর হয়ে এবং টাঙ্গাইল হয়ে মির্জাপুরের ওপর দিয়ে কোথাও প্রবেশ যাতে না করতে পারে সেজন্য এ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
সারা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। মির্জাপুরে একজনসহ টাঙ্গাইল জেলায় এ পর্যন্ত সাতজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ খবরে জনমনে আতঙ্ক বাড়ছে। এ অবস্থায় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি দিনে-রাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে অর্ধশতাধিক মানুষ বিভিন্নভাবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফিরেছেন। এছাড়া শত শত মানুষ মির্জাপুর হয়ে টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গেছেন। ওসব লোকজন এলাকায় ফিরে করোনার ঝুঁকি বাড়িয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
গত ৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের পলি ক্লিনিকের সিনিয়র ওটি বয় করোনা উপসর্গ নিয়ে মির্জাপুরের বৈরাগী ভাওরা গ্রামের বাড়িতে আসেন। ৬ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠান স্বাস্থ্যকর্মীরা। ৭ এপ্রিল তার করোনা পজেটিভ হয়। রাতেই তাকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তির পরিবারের নয়জনসহ ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ হয়। আরও ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান বলেন, দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখতে পুলিশ সবসময় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। করোনাভাইরাস থেকেও সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। মির্জাপুর উপজেলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে তিনটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহলে রয়েছেন।
এস এম এরশাদ/এএম/এমকেএইচ