করোনা : বগুড়ায়ই করা যাবে নমুনা পরীক্ষা
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম আগামী ১৮ এপ্রিল শনিবার থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে শুরু হবে। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ পিসিআর (পলিমার টেইন রি-অ্যাকশন) মেশিন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল। এখন ল্যাব টেকনিশিয়ানদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তারপর থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে, সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। প্রথমে ঢাকায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা শুরু হয় পরে পর্যায়ক্রমে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে অবস্থিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হয়।
রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার জন্য মার্চের শেষ সপ্তাহে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর স্থাপন করা হয়। বর্তমানে সেখানেই বগুড়ার নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। তবে প্রতিটি পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে ৪৮ ঘণ্টা লেগে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলোজি বিভাগে পিসিআর স্থাপনের দাবি ওঠে। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পিসিআর মেশিন বসানোর অনুমোদন দেয়া হয়।
অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, এপ্রিলের প্রথম দিকেই কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর স্থাপনের কাজটি শুরু হয়। খুব দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য একটি কক্ষকে প্রস্তুত করা হয়। সেখানে ৪টি ইনক্লোজার, সিলিং এবং পাশাপাশি দুটি টয়লেটসহ অন্যান্য নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। এরপর গত ৮ এপ্রিল পিসিআর যন্ত্র এসে পৌঁছে এবং তা স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এখন পিসিআর মেশিন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ চলছে।
তবে কিছু টেকনিকাল কাজ এখনও বাকি আছে। কাজ শেষ হলে আগামী শনিবার থেকে বগুড়া শজিমেক’এ করোনার পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। এখানে প্রতি ৬ ঘণ্টায় ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে বলেও জানান তিনি।
এফএ/পিআর