ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে ঘরে রাখা দায়
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১১ এপ্রিল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এই লকডাউন না মেনে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষজন। এতে করে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬। এর মধ্যে মারা গেছেন দুইজন। গতকাল বৃহস্পতিবার সমগ্র বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
লকডাউন ও সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণার পরও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই বের হচ্ছেন মানুষজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও হাপিয়ে উঠছেন মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের অবাধ চলাচল দেখা গেছে। অন্যদিনের মতোই শহরে রিকশা, মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে যান চলাচলে বাধা দিলেও অনেকেই নানা অজুহাতে সেটি মানছেন না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দফতর) আবু সাঈদ বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তাদেরকে ঘরে রাখার জন্য আমরা এখনও মাইকিং করছি। জনপ্রতিনিধিদের দিয়েও মানুষকে বুঝিয়ে ঘরে রাখার চেষ্টা করছি। এছাড়াও সাধারণ কোনো শারীরিক সমস্যা হলে যেন ঘরে বসেই স্বাস্থ্য সেবা পান সেটির ব্যবস্থাও আমরা করছি।
আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/পিআর