চিকিৎসকদের কাছে আমি ঋণী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০

পটুয়াখালীতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ চারজন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) জেলা পরিবার পরিকল্পনা ভবনের ৫০ শয্যা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা ওই চারজনকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুস্থ চারজনের মধ্যে একজন সদর উপজেলার। তার বয়স (৪২) বছর। আরেকজন দশমিনার। দিনি স্বাস্থ্য পরিদর্শক (৪৫)। আরও দুইজন আছেন একই উপজেলার। তাদের একজনের (১৮) ও অন্যজনের বয়স (৪১) বছর।

করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া (৪১) ব্যক্তি বলেন, আমি আগে কোনোদিন অসুস্থ হইনি। আল্লাহর রহমতে সুস্থ ছিলাম। হঠাৎ করেই আমার আক্রান্তের খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম আর মনে হয় জীবিত হয়ে ফিরতে পারবো না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ডাক্তারদের সেবায় বেঁচে ফিরেছি।

তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত হবার পরে আত্মীয়-স্বজনরা দূরে সরে গিয়েছিলো। কিন্তু ডাক্তাররা আমার ঘণ্টায় ঘণ্টায় খোঁজ-খবর রেখেছে। আমাকে সাহস জুগিয়েছে। তারা পরিবারের সদস্যদের চেয়ে বেশি সেবা দিয়েছে। সময় মতো খাবার দিয়েছে। চিকিৎসকদের কাছে আমি ঋণী।

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দেয়ার। করোনার নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও লক্ষণ দেখে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। সার্বক্ষণিক তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার কারণে চারজনকে সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছি। এর সবাই আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। এদেরকে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে। এই কৃতিত্ব সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর।

জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৩৬ জনকে। জেলায় মোট কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৪৮৩ জন। ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১০৪৭ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৫৬ জন। মোট কোয়ারেন্টাইন ৩৮০ জন। এছাড়া আক্রান্ত ২৩ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গেছে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।