ঈদের পর চালু হতে পারে ট্রেন, চলছে প্রস্তুতি
![ঈদের পর চালু হতে পারে ট্রেন, চলছে প্রস্তুতি](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/rajshahi-20200511182713.jpg)
ভয়াবহ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে বন্ধ রয়েছে সবধরনের গণপরিবহন। এর সুফলও মিলেছে। প্রাণঘাতি করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে ধীরে।
এখন পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা ধরা পড়েছে ২২৩ জনের। দুইদিন আগেও এ সংখ্যা ছিল ২০৭ জন।
এরই মধ্যে আসছে ঈদুল-ফিতর। লকডাউন সত্ত্বেও নানান কৌশলে রাজশাহী ফিরছে লোকজন। এ পরিস্থিতিতে ঈদের আগে চালু হচ্ছে না ট্রেন। তবে ঈদের পরে ট্রেন চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজশাহী রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ। ঘোষণা আসার সাথে সাথে কার্যক্রম শুরুরও আভাস মিলেছে।
এরই মধ্যে টিকেট সংগ্রহে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে টিকেট কাউন্টারের সামনে বৃত্ত আঁকা হয়েছে। ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদেরও সামাজিক দূরত্ব মেনে অবস্থান নিশ্চিত করতে প্লাটফরমও চিহ্নিত করা হয়েছে।
রোববার স্টেশন কর্তৃপক্ষের এ কার্যক্রমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এতে ঈদের আগেই ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে বলে ধরে নিচ্ছেন অনেকেই।
তবে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানিয়েছেন, আপাতত ট্রেন চালুর কোনোই সম্ভাবনা নেই। এ রকম কোনো বার্তা তারা পাননি। তবে ঈদের পর সীমিত পরিসরে ট্রেন চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। তখন যেন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যায় তার প্রস্তুতি হিসেবে এই বৃত্ত আঁকা হচ্ছে।
সোমবার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, একেবারেই শুনশান পুরো স্টেশন। বিভিন্ন লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে নিশ্চল ট্রেনগুলো। কয়েকজন রেলকর্মী কাজ করছেন নিজের মতো।
স্টেশন ভবনের প্রবেশ পথে আঁকা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব সূচক বৃত্ত। সারি সারি একই ধরনের বৃত্ত আঁকা হয়েছে স্টেশনের আট টিকেট কাউন্টারের সামনে।
স্টেশন ভবন থেকে প্লাটফরমে প্রবেশ পথেও বৃত্ত আঁকা হয়েছে। বৃত্ত রয়েছে প্লাটফরমে দাঁড়ানো ও অপেক্ষমান যাত্রীর জন্য। এসব কিছুই করা হয়েছে করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতেই।
জানা গেছে, এমন প্রস্তুতির জন্যও সরকারের তরফ থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ ভুঁইয়া, বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার মারুফ হাসান ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী এ প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, শুধু বৃত্ত আঁকা নয়, স্টেশনে ঢোকার আগে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। রোববার থেকে এসব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। সরকার যখন সিদ্ধান্ত দেবে, তখনই ট্রেন চালু হবে।
ফেরদৌস/এমএএস/এমকেএইচ