রাজশাহীতে করোনাভাইরাস : আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ১২ মে ২০২০

রাজশাহী বিভাগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা ধরা পড়েছে ২৪৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৬ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন। আর ১১ রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ পর্যন্ত বিভাগে ২৭ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি ৭০ রোগী। করোনায় মৃতের সংখ্যা দুইজন।

মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য দফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দিনে দিনে রাজশাহী বিভাগে করোনা পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। এখন করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ পর্যায় চলছে। এ অবস্থায় প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে। বিনাপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। সবসময় জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে, নওগাঁকে পেছনে ফেলে বিভাগে আবারও করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে জয়পুরহাট জেলা। এই জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৭১ জন। গত ২৮ ঘণ্টায় নতুন ২৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। নতুন ১১ জনসহ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এই জেলার ৫১ রোগী। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচজন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে নওগাঁয়। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় ধরা পড়েনি করোনা রোগী। এর আগে প্রায় প্রতিদিনই এই জেলায় লাফিয়ে বাড়ছিল করোনা রোগী। আক্রান্তদের তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই জেলার ১০ রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় দুইজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে বগুড়ায় ৪১ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জনের করোনা ধরা পড়েছে। বগুড়ায় ১৫ রোগী হাসপাতাল ভর্তি থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কেরোনা রোগীদের কেউ হাসপাতালে আসেনি। বগুড়ার আট রোগী সুস্থ হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখনও সুস্থ হওয়ার খবর নেই।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়নি রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায়। এ পর্যন্ত রাজশাহী ১৭ জন, নাটোরে ১২ জন, পাবনায় ১৬ জন এবং সিরাজগঞ্জে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত রাজশাহী ও নাটোরে একজন করে মারা গেছেন করোনায়।

স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৫৭৯ জনকে। এই সময়ে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরিয়েছেন ৬৫৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ১৬ জন। আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে চারজনের। নতুন করে ১৩ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন দুইজন।

১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ২৮ হাজার ৭৫৫ জনকে। এদের মধ্যে ২১ হাজার ২৪২ জন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৪৩৭ জনকে। এদের ২৭৮ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এ পর্যন্ত ২৪৬ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৮০ জন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।