ভৈরবের মার্কেটে যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা
ভৈরবে লকডাউন তুলে নেয়ায় সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ। মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। এরমধ্যে ১২ এপ্রিল থেকে ভৈরবে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। তার মধ্যে গত ৫ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন।
সরকারি ঘোষণার পর গত ১০ মে থেকে ভৈরবের সকল মার্কেট খুলে দেয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখছিলেন ব্যবসায়ীরা। এরপর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ১৩ মে থেকে ১৫ মে তিনদিন মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করে। পরে ১৬ মে থেকে আবারও মার্কেট ও দোকানপাট খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয় উপজেলা প্রশাসন।
মার্কেট খুলে দেয়ায় ভৈরবের পৌর মার্কেটসহ সকল মার্কেট ও দোকানে উপচে পড়া ভিড় থাকছে। বিশেষ করে নারী ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দোকানগুলোতে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করেই ক্রেতাদের ভিড় হচ্ছে।
এছাড়া ভৈরবের পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ শহরের সকল মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদের আগে এসব জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকায় সব দোকান বন্ধ থাকলেও ভৈরব উপজেলা প্রশাসন ও চেম্বার নেতৃবৃন্দ সকল মার্কেট খোলা রেখেছে। এ কারণে আশপাশের উপজেলার অধিকাংশ মানুষ ভৈরবে এসে কেনাকাটা করছেন। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না দোকানিরা। ফলে একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
স্থানীয় সাংবাদিক কাজী আবদুল্লাহ আল মাছুম বলেন, ভৈরবে সামাজিক দূরত্ব একেবারেই মানা হচ্ছে না। আশপাশের উপজেলাগুলোর দোকানপাট বন্ধ রাখা হলেও ভৈরব উপজেলা প্রশাসন ও চেম্বার নেতারা তা করেননি। মার্কেটগুলোতে যেভাবে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায় সামনের দিনগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকানগুলোতে বেচাকেনা করতে বলা হয়েছে। ভৈরব চেম্বার নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত হয়। কেউ নির্দেশ না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান ফারুক/এফএ/এমএস