করোনায় মারা যাওয়া ব্রাদারের ছেলের দায়িত্ব নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ৩১ মে ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের পুরুষ নার্স (ব্রাদার) রুহুল আমিনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

রুহুল আমিনই দেশের প্রথম কোনো ব্রাদার যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

তার মৃত্যুর পর শোক জ্ঞাপনের পাশাপাশি একমাত্র ছেলের পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কায়েস চৌধুরী ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রুহুল আমিনের ছেলের পড়ালেখার জন্য তার স্ত্রীর নামে ২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেবেন। যেটি দিয়ে সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার ছেলে আলীফের দৈনন্দিন পড়ালেখার খরচ চলবে। সেই সঙ্গে তার টিউশন ফি ও একাডেমিক সকল ব্যয় মওকুফের উদ্যোগ নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে নার্সিং কর্মকর্তা রুহুল আমিনের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. ইউনুছুর রহমান ও উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি শামীমা নাসরিন ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক।

এক বিবৃতিতে শামীমা নাসরিন ও ইসরাইল আলী সাদেক বলেন, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই সিলেটের নার্সদের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি সার্বক্ষণিক নার্সদের খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা সামগ্রীও পাঠিয়েছেন। এতে সিলেটে করোনাক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়া নার্সরা উৎসাহ পেয়েছেন। এছাড়া নার্সিং কর্মকর্তা রুহুল আমিন মারা যাওয়ার পরপরই তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) তার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং এবার তার ছেলের পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন। এতে আমরা আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

নার্সিং কর্মকর্তা রুহুল আমিন করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে গত ২২ মে করোনায় আক্রান্ত হন। গত শুক্রবার (২৯ মে) সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায়। তিনি সিলেট নার্সিং কলেজ থেকে নার্সিং পাস করে ১৯৯৮ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।

ছামির মাহমুদ/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।