৯৬ টাকার ভাড়া ১৫০, স্বাস্থ্যবিধির খবর নেই
সরকারি সিদ্ধান্তের পর সাতক্ষীরায় চালু হয়েছে বাস চলাচল। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ। সাতক্ষীরা জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
এছাড়া ভাড়া বেশি নেয়ার কারণে যাত্রীবাহী বাসে উঠতে চাইছে না যাত্রীরা। বাস শ্রমিকরা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা মেনেই ভাড়া নিচ্ছেন তারা।
সোমবার (০১ জুন) সকাল থেকে সাতক্ষীরা-খুলনা, সাতক্ষীরা-যশোরসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে মাহিন্দ্র, ইজিবাইক, নসিমন, করিমনসহ সব প্রকার যানবাহন চলাচল করছে। দুই মাসের অঘোষিত লকডাউন প্রত্যাহারের পর স্বাভাবিকের থেকেও রাস্তায় ভিড় দেখা গেছে বেশি।
সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা যাতায়াত করছেন স্বাভাবিক নিয়মে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না যাত্রী ও বাস শ্রমিকরা।
সাতক্ষীরা-খুলনা রুটের বাসের সুপারভাইজার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আগে ভাড়া ছিল ৯৬ টাকা এখন আমরা ভাড়া নিচ্ছি ১৫০ টাকা। তবে ভাড়া বেশি নেয়ার কারণে যাত্রীরা বাসে উঠতে চাইছেন না। সরকারি নির্দেশনা মেনে এক সিটে একজনের বেশি আমরা কাউকে নিচ্ছি না।
সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের বাস শ্রমিক আব্দুল্লাহ বলেন, সাতক্ষীরা থেকে যশোরের ভাড়া আগে ছিল ৮০ টাকা। এখন আমরা ১৫০ টাকা করে নিচ্ছি।
সাতক্ষীরা থেকে খুলনার বাসযাত্রী আবুল হোসেন বলেন, আগে ৯০ টাকা করে সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় গেছি। এখন ১৫০ টাকা নিচ্ছে। ভাড়া বেশি নিচ্ছে। ভাড়া কমানোর দাবি জানাই।
সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভাড়া বেশি নেয়ার বিষয় তদারকি করছেন সদর থানা পুলিশের এসআই মনির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা দেখভাল করছি। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কেউ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন কি-না বা কেউ চাঁদাবাজি করছেন কি-না তা দেখছি আমরা। ভাড়া বেশি নেয়ার বিষয়ে কোনো যাত্রী এখনও অভিযোগ করেননি।
স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, মাস্ক পরা ছাড়া কেউ বের হলেই তাকে জেল জরিমানা করা হবে। নিজেদের সুরক্ষা বজায় রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আকরামুল ইসলাম/এএম/এমএস