প্লাজমা থেরাপি দেয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠছেন কামরান
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান দম্পতির শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে।
এর মধ্যে কামরান ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যদিকে তার স্ত্রী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোমবার (০৮ জুন) ঢাকার সিএমএইচে প্লাজমা থেরাপি দেয়ার পর মঙ্গলবার (০৯ জুন) থেকে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর বাসায় আইসোলেশনে থেকে অনেকটা সুস্থ আছেন তার স্ত্রী।
করোনা প্রতিরোধে সিলেটে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কামরান দম্পতি মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন। এর কোনো একসময় তারা করোনায় আক্রান্ত হন।
এদিকে, কামরান দম্পতির সুস্থতা কামনায় সিলেটের বিভিন্ন এলাকার মসজিদ-মন্দির ও গির্জায় প্রার্থনার আয়োজন করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কামরানের বড় ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু। তিনি বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বাবাকে চিকিৎসকরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সোমবার সকালে বাবাকে প্রথম প্লাজমা দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে বাবার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। মঙ্গলবার সকালে তিনি হাসপাতাল থেকে দেয়া খাবারও খেয়েছেন।
ডা. শিপলু বলেন, বাবার অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় মঙ্গলবার দ্বিতীয় প্লাজমা দেয়ার কথা থাকলেও চিকিৎসকরা কিছুটা সময় নিয়েছেন। বাবার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া চাই।
গত ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে ৬ জুন তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রোববার (০৭ জুন) সন্ধ্যায় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল থেকে বিমান বাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কামরানকে ঢাকায় আনা হয়।
গত ২৭ মে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি বাসায় আইসোলেশনে আছেন। বাসায় থেকে আসমা কামরান সুস্থ হওয়ার পথে রয়েছেন।
ছামির মাহমুদ/এএম/এমএস