করোনার থাবায় ভোমরা বন্দরে ৪৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টানা ৮৭ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি কার্যক্রম।
শনিবার (২০ জুন) বিকেল ৩টার দিকে ভোমরা বন্দর ও ভারতের ঘোজাডঙ্গা বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্দর বন্ধ থাকায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ২৬১ কোটি টাকার আর ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে ১৭৪ কোটি টাকা। সবমিলে ৪৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশের সময় আগের মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে ভারতীয় নাগরিকদের। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে কার্যক্রম।
বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, আমদানি কার্যক্রম চালু হওয়ার পর দেশে প্রবেশের সময় আগের নিয়মে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনও ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
ভোমরা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মাকসুদুল খান বলেন, করোনার কারণে ২৫ মে থেকে ভোমরা বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার থেকে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্দরে আবারও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। বন্দর বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে ১৭৪ কোটি টাকা।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা এনাম হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে কতগুলো ট্রাক প্রবেশ করবে সেটির সঠিক সংখ্যা এই মুহূর্তে দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রফতানি কবে নাগাদ চালু হবে সেটির বিষয়ে পরে জানাবে।
তিনি বলেন, বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। টানা ৮৭ দিন বন্ধ থাকায় ২৬১ কোটির টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।
আকরামুল ইসলাম/এএম/জেআইএম