হবিগঞ্জে রেড জোনেও লকডাউন মানছে না কেউ
হবিগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এলাকাগুলো হলো- হবিগঞ্জ পৌরসভার ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, মাধবপুর পৌরসভা, চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ, উবাহাটা, রাণীগাঁও ইউনিয়ন ও চুনারুঘাট পৌরসভা এবং আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন।
তবে এসব এলাকার অনেক স্থানে লকডাউন মানছে না সাধারণ মানুষ। অনেকেই পরছেন না মাস্ক। আবার কোনো কোনো এলাকায় স্থানীয়রা বাঁশ বেঁধে রাখলেও সুযোগ পেলে তা খুলে ফেলা হয়। প্রতিদিন স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও সচেতন হচ্ছে না মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, রেড জোন ঘোষণা করা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শ্যামলী এলাকার প্রবেশমুখ সাধুর সমাধি এবং সিনেমা হল রোডে বাঁশ দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সময় এসব বাঁশ পথচারীরা খুলে ফেলেন। এরপর আবার তা বাঁধা হয়।
একইভাবে রেড জোন ঘোষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকাগুলোতে মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে। অবাধে চলছে যানবাহন। জেলা প্রশাসন রোববার বিকেলে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মাস্ক না পরায় নয়জন ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করে।
অভিযান চালিয়ে প্রতিদিনই এমন জরিমানা করা হয়। কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না। অভিযানের খবর পেলে পালিয়ে যায় কেউ কেউ। অভিযানকারী দল এক দোকানে প্রবেশ করলে খবর পেয়ে অন্য ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, শহরে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে রেড জোন এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি থাকে। প্রতিদিনই জরিমানা করা হয়। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এরপরও কেন মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এভাবে জরিমানা করে হয়তো কিছুটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই মানুষকে নিজে থেকে সচেতন হতে হবে। এত প্রচারণা, জরিমানার পরও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৬৬ জন। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত তিনদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭ জন।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এএম/পিআর