করোনায় মৃত্যু : লাশ বহনে গাড়ি দেয়নি কেউ, এগিয়ে এলেন ডিসি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৫:৩২ এএম, ১৩ জুলাই ২০২০

দুপুর থেকেই প্রচণ্ড বৃষ্টি। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মো. আবদুর রউফ (৫৮) নামের এক এনজিও কর্মকর্তা। একদিকে বৃষ্টি তার ওপর করোনায় মৃত্যুর কথা শুনে লাশ বহনের জন্য কেউ দিচ্ছে না গাড়ি ভাড়া। এমন খবর শুনে বসে থাকেননি জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। নিজে চলে আসেন ঘটনাস্থলে। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিপ গাড়ি দিয়েই মরদেহ পরিবহন করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

শুধু তাই নয়, যেন সঠিকভাবে কাজটি করা হয় তার জন্য তিনি নিজে তদারকিও করেন। ঘটনাটি রোববার (১২ জুলাই) ঝিনাইদহ শহরের চানমারি এলাকায়।

জানা গেছে, আবদুর রউফ বেসরকারি সংস্থা ‘আশা’র শৈলকুপা অঞ্চলের রিজিওনাল ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের ইয়াসিন বিশ্বাসের ছেলে। পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি ঝিনাইদহ শহরের চানমারিপাড়ায় বসবাস করতেন।

স্বজনদের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে তিনি কোনো চিকিৎসা পাননি। একইভাবে লাশ বহনের জন্যও কেউ গাড়ি ভাড়া দেয়নি।

তবে খবর পেয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিপ গাড়ি দিয়ে লাশ পরিবহনের ব্যবস্থা করেন বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদ্দোজা শুভ।

মৃত ব্যক্তির শ্যালক মিনহাজ উদ্দীন জানান, তার দুলাভাই ৫-৬ দিন আগে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে যান ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। কিন্তু সুস্থ বলে নমুনা না নিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে জ্বরে আক্রান্ত হলে কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ করে। তিন দিন আগে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
তিনি জানান, রোববার দুপুরে দুলাভাইয়ের অবস্থার অবনতি হয়, হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করা হলে বাড়িতেই তিনি মারা যান।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহের উপপরিচালক মো. আবদুল হামিদ খান জানান, সদর উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে দাফন কমিটির সদস্যরা জানাজার পর সন্ধ্যায় স্থানীয় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মো. আবদুর রউফের লাশ দাফন করা হয়েছে।

তিনি জানান, এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ২৪ জন নারী ও পুরুষের লাশ দাফন করা হলো।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এফআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।