সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়াল
সিলেটে লাগামছাড়া ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সিলেটে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার চার মাস সাত দিনের মাথায় এ বিভাগে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেল।
বুধবার (১২ আগস্ট) সিলেটের দুই ল্যাবে নতুন করে আরও ১৪৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৭০ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ওসমানীর ল্যাবে বুধবার ৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের ৬২ জন আর সিলেটের ৮ জন।
এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক জি এম নুরুন্নবি আজাদ জুয়েল জানান, বুধবার শাবিপ্রবির ল্যাবে ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ২৩ জন, হবিগঞ্জের ৩০ জন ও সিলেট জেলার ২১ জন রোগী রয়েছেন।
এ নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৬১ জনে। আক্রান্ত রোগীর দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি সিলেট জেলায়। এ জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৮২২ জন। আর সুনামগঞ্জে এক হাজার ৬৯৬ জন, হবিগঞ্জে এক হাজার ৩২৬ জন এবং মৌলভীবাজারে এক হাজার ২১৭ জন।
এ বিভাগে বুধবার পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১৫৭ জনে। এর মধ্যে সিলেটের ১১৫ জন, সুনামগঞ্জে ১৭ জন, হবিগঞ্জে ১১ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ১৪ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৪৯ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৬৮, সুনামগঞ্জে ১৩, হবিগঞ্জে ৪৮ ও মৌলভীবাজারে ২০ জন।
সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট চার হাজার ২৭৯ জন। এর মধ্যে সিলেটে এক হাজার ৪৪৭ জন, সুনামগঞ্জে এক হাজার ২৭১ জন, হবিগঞ্জে ৮৬৬ ও মৌলভীবাজারে ৬৯৫ জন।
গত ১০ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ১৭ হাজার ৯০ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৫২৩ জনকে। বর্তমানে এ বিভাগের হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন ৫৬৭ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৩৪৪, সুনামগঞ্জে ১০২, হবিগঞ্জে ৩৪ ও মৌলভীবাজারে ৮৭ জন।
আর হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন বিভাগের ৩৯০ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৮৩ জন, সুনামগঞ্জে ৪৮ জন, হবিগঞ্জে ১৫০ জনও মৌলভীবাজারে ১০৯ জন। তারা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসাধীন আছেন।
ছামির মাহমুদ/বিএ