করোনাভাইরাস : খুলনায় ৪ জনের মৃত্যু
![করোনাভাইরাস : খুলনায় ৪ জনের মৃত্যু](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/korona-death0005-20200824212414.jpg)
খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে দুইজন করোনায়, বাকি দুইজন উপসর্গে মারা যান।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন সেন্টার ও নুরনগরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে, সোমবার খুমেক হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে নতুন করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৩০ জন খুলনা জেলা ও মহানগরীর। বাকিরা পাশের জেলার। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মিজানুর রহমান বলেন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাসিন্দা সোবাহানের ছেলে কামাল হোসেনকে (৪০) করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২৩ আগস্ট আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বাসিন্দা সেবা রানীকে (৬৫) করোনার উপসর্গ নিয়ে ২২ আগস্ট বিকেল ৫টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ আগস্ট রাত ৮টায় তার মৃত্যু হয়। তারা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি-না পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতালের সমন্বয়কারী ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাগেরহাটের বাসিন্দা হাসেম হাওলাদারের ছেলে আব্দুস জব্বার হাওলাদার (৫০) করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২ আগস্ট থেকে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ আগস্ট রাত পৌনে ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের ছেলে লিমন (২৮) করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ আগস্ট দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টায় তার মৃত্যু হয়।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে সোমবার মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ১৪৭টি। এদের মধ্যে মোট ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৩০ জন খুলনার। এছাড়া খুমেক ল্যাবে যশোরের চারজন, সাতক্ষীরার তিনজন, বাগেরহাটের দুইজন ও গোপালগঞ্জের একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আলমগীর হান্নান/এএম/এমএস