খুলনায় করোনায় শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু
খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নূরনগরস্থ করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে তিনজন খুলনার, একজন বাগেরহাটের ও একজন যশোরের।
মৃতরা হলেন- মহানগরীর ছোট বয়রা শ্মশানঘাট এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে তালহা (১১), রূপসা উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল গফুর (৭০), বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার তপন দাসের স্ত্রী স্মৃতি দাস (৫০), যশোরের শার্শার পাগল মোড়লের ছেলে জনাত আলী (৮৫) ও নগরীর সদর থানাধীন নিরালা আবাসিক এলাকার মেজবাউল ওসমানের স্ত্রী সাজেদা মোরশেদ (৮২)।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি রেজা সেকান্দার বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৬ আগস্ট থেকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শ্মশানঘাট এলাকার তালহা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টায় তার মৃত্যু হয়। রূপসার আব্দুল গফুর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তার মৃত্যু হয়। নিরালার সাজেদা বেগম ২৭ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৭টা ৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া ফকিরহাটের স্মৃতি দাস ২৫ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়। শার্শার টেংরা গ্রামের জনাত আলী রোববার থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবার বিকেল ৫টায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে এখন পর্যন্ত খুলনা করোনা হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, খুলনা করোনা হাসপাতালে মারা যাওয়া সবাই খুলনার বাসিন্দা নন। সোমবার সকাল পর্যন্ত খুলনা জেলায় ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে ও রাতে জেলার তিনজনের মৃত্যু নিয়ে মোট ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে, সোমবার খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি-পিসিআর ল্যাবে নতুন করে ৪২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৩২ জন খুলনা জেলা ও মহানগরীর। রাতে খুমেকের পিসিআর ল্যাব থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুমেকের আরটি-পিসিআর ল্যাবে সোমবার ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ২১৭টি। এদের মধ্যে মোট ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৩২ জন খুলনার। এছাড়া খুমেকের ল্যাবে বাগেরহাটের একজন, সাতক্ষীরার চারজন, যশোরের দুইজন, পিরোজপুরের একজন ও গোপালগঞ্জের দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আলমগীর হান্নান/এএম/এমএস