করোনা পরীক্ষায় ৫০০ অ্যান্টিজেন্ট কিট পেল জয়পুরহাট
দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে ৫০০টি অ্যান্টিজেন কিট দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে অ্যান্টিজেন কিট পরীক্ষার উদ্বোধন করেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম। উদ্বোধনের পর থেকে ৯ জনের কাছ থেকে নমুনা (নোজাল সোয়াব) নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তদের সবার করোনা নেগেটিভ আসে।
জয়পুরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র মতে, নাক থেকে পিচ্ছিল পদার্থ (নোজাল সোয়াব) সংগ্রহ করে তা বাফার দ্রবণের সঙ্গে ওই অ্যান্টিজেন কিট সংমিশ্রণের ১৫-৩০ মিনিট পর ফলাফল পাওয়া যাবে। এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন ডা. সাইফুল ইসলামসহ তিনজন। অন্যরা হলেন- জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট ফিরোজ জামান ও পরিসংখ্যানবিদ হাসিবুর রহমান।
জয়পুরহাট পৌর এলাকার প্রফেসরপাড়ায় আরিফুল ইসলাম, থানাপাড়ার উজ্জল কুমার, সদর উপজেলার গনকবাড়ী এলাকার মারুফ আহমেদ বলেন, দেশের দশ জেলার মধ্যে জয়পুরহাটেও অ্যান্টিজেন কিট টেস্ট শুরু হয়েছে এ জন্য আমরা খুশি। একই সঙ্গে জেলার আরও উপজেলাতেও এই কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।
হাসপাতালে করোনা টেস্ট করতে আসা পৌর এলাকার বুলুপাড়ার ফারহানা, চকগোপাল গ্রামের সুলতান শেখ ও আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর বাজারের নারগিস ইসলাম জানান, নতুন ধরনের পরীক্ষা এবং অল্প সময়ে ফলাফল পাওয়া গেছে এ জন্য ভালো লাগছে।
জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে এ সেবা পাওয়া যাবে। আমাদেরকে ৫০০ অ্যান্টিজেন কিট দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কিট দেওয়া হবে। যাদের সর্দি-কাশি, জ্বর ও গলা ব্যথার উপসর্গ আছে তাদেরই শুধু পরীক্ষা করা হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের মহা দুর্যোগের নাজুক দৃশ্য শুরু হয়েছিল এ বছরের গোড়ার দিকে। জনতার চোখে মুখে ছিল উৎকণ্ঠার ছাপ। গত ১৬ এপ্রিল জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জিন্দারপুর গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জ ফেরত মোখলেছার রহমান (৪৭) ও ওবাইদুল ইসলাম (৪২) নামে দু’জন রিকশা চালকের শরীরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর থেকে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২০৯ জনে দাঁড়ায়। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেন ১ হাজার ১৬৬ জন আর সাত জন মারা যান।
রাশেদুজ্জামান/এসজে/জেআইএম