তামাবিলের পাঁচ কোটি টাকার রাজস্ব খেয়েছে করোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ১০:২৪ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২১

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আমদানি-রফতানি সাময়িক কিছুদিন বন্ধ থাকায় ২০২০ সালে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ কোটি ১৪ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে স্থলবন্দরটিতে। এমনকি ২০১৯ সালের চেয়েও রাজস্ব আয় কমেছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। কমছে পণ্য আমদানিও।

তামাবিল স্থলবন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের শেষের দিকে পণ্য রফতানি বেড়েছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে চলতি বছর রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে মূলত কয়লা ও পাথর আমদানি হয়। তবে ভারতের উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে কয়লা আমদানি।

এদিকে সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় পাথর আমদানি বেড়েছে। তবে এই বন্দর দিয়ে খুব বেশি পণ্য রফতানি হয় না।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শুল্ক স্টেশন থেকে তামাবিলকে স্থলবন্দরে উন্নীত করা হলেও এখানে এখনও নেই বন্দরের সুবিধা। এরফলে এই স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানিতে ব্যবসায়ীরা তেমন আগ্রহী নন।

তামাবিল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে এ স্থলবন্দর দিয়ে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৬ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয় ১৬ কোটি ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা। ২০২০ সালে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ কোটি টাকা। তবে আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৮৬ লাখ ২৪ হাজার ৭৪৮ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় পাঁচ কোটি ১৪ লাখ টাকা কম।

jagonews24

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ৩০ মার্চ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে ৩ মাস পণ্য আমদানি রফতানি বন্ধ ছিল।

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে এখন মূলত ভারত থেকে পাথর আমদানি হচ্ছে। এছাড়া ভুটান থেকে কিছু কমলা আমদানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছর প্রায় সাড়ে তিনমাস বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ কারণে বছর শেষে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে বছরের শেষ দিকে পাথর আমদানি আগের বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এই অবস্থা চলতি বছরেও অব্যাহত থাকলে এবার রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

তামাবিল স্থলবন্দরের একাধিক আমদানিকারক জানান, শুল্ক স্টেশন থেকে তামাবিলকে স্থলবন্দরে উন্নীত করা হলেও কোনো বাড়তি সেবা পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা। স্থলবন্দরের ডাম্পিং ইয়ার্ডও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে পণ্য আমদানির পর মজুদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ডাম্পিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আর এ কারণেই এ বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানিতে আগ্রহী কম।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘোষণার ১৫ বছর পর ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেটের প্রথম এই স্থলবন্দরের উদ্বোধন করা হয়।

ছামির মাহমুদ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।