মিষ্টির দোকানগুলোতে নেই ভিড়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৫:১৩ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২১

উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আজ (শনিবার)। একযোগে দেশব্যাপী ফলাফল প্রকাশিত হলেও নেই খুশির আমেজ। মিষ্টির দোকানে নেই কোনো ভিড়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিউ সিনেমা হল রোড ও মহাদেবপট্টি মোড়ে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানসহ বেশ কয়েকটি বড় মিষ্টির দোকান। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর এসব দোকানে প্রতি বছর দেখা যেত ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বিক্রেতাদের দম ফেলার ফুরসত থাকতো না। ফল প্রকাশের পর তাদের বিক্রয় হতো দ্বিগুণের বেশি।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) এইচএসসির ফলাফল ঘোষণার পর শহরের নিউ সিনেমা হল রোড ও মহাদেবপট্টি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, অন্যবারের চেয়ে এবারের চিত্র ভিন্ন। নিয়মিত ক্রেতা থাকলেও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণায় নেই ক্রেতাদের বাড়তি ভিড়।

কথা হয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান মাতৃ ভান্ডারের মালিক সজিব চন্দ্র পালের সাথে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর এই সময়ে প্রচুর ভিড় থাকে দোকানে। আমাদের ক্রেতা সামলানোই কষ্টকর হয়ে যেত। কিন্তু এবার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার পর ক্রেতা তেমন চোখে পড়েনি।’

মধুরাজ নামের আরেকটি মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা গেল একই চিত্র। দোকানের মালিক অসিত মোদক বলেন, ‘প্রতি বছর বিশেষ দিনগুলোতে আমাদের অতিরিক্ত প্রস্তুতি থাকে। এ বছরও পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে সেই প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আশানুরূপ কোনো ক্রেতা এ বছর ফলাফল ঘোষণার পর আসেনি। নিয়মিত যে ক্রেতা ছিল তেমনই বিক্রি হচ্ছে আজ।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিউ সিনেমা হল রোড ও মহাদেবপট্টির মিষ্টির বড় দোকানগুলোতে প্রায় লাখ টাকার মিষ্টি, ছানামুখী, বরফি ও রসমালাই বিক্রি হয়। পরীক্ষা বা বিশেষ দিনগুলোতে এই বিক্রির পরিমাণ দুই থেকে তিন লাখে গিয়ে পৌঁছে। করোনার মহামারিতে ক্রয়-বিক্রয়ে প্রভাব পড়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম বলেন, ‘রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সদস্য জেলার মিষ্টির দোকানও। তাদের সাথে কথা বলে জেনেছি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার একেবারেই নেই বিক্রি। কারণ এ বছর ফলাফল প্রকাশে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। অভিভাবকদের মাঝে আগ্রহ কমে গেছে। পাশাপাশি করোনার মহামারি তো রয়েছেই।’

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারিকালে পরীক্ষা ছাড়াই এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তৈরি করে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ৭৫ শতাংশ বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনা করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।