শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২১

সোমবার থেকে সাতদিনের লকডাউনকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-বড় পরিবহনে ঘুরমুখো যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে ভিড় করছেন।

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিগুলোতে চাপ কিছুটা কম থাকলেও লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।

এদিকে এ সুযোগে গণপরিবহনগুলোতে নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ঘাট ও নৌযানগুলোতে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ না থাকায় যাত্রীদেরও উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে।

ferry

বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, এ নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও ৩ শতাধিক স্পিডবোট চালু রয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, লকডাউনে অনেকের কর্মস্থল বন্ধের পাশাপাশি ঢাকায় ব্যয় বৃদ্ধি ও নিরাপত্তাকে সামনে রেখেই বাড়িতে ফিরছেন তারা। অনেকেই আবার লকডাউনের সময় বৃদ্ধির আশংকা করছেন।

পটুয়াখালীগামী যাত্রী আহমেদ জানান, লকডাউনে ঘরেই বসে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ঢাকায় ব্যয়ের চেয়ে গ্রামে ব্যয় কম। এজন্য গ্রামে যাচ্ছি।

আরেক যাত্রী মো. শরিফুল জানান, রেস্টুরেন্টে কাজ করি। লকডাউনে বন্ধ, তাই কাজ নেই বাড়ি যাচ্ছি। পরিস্থিতি ভালো হলে ফিরে আসব।

ferry

ফরিদপুরগামী আমির হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, সরকার বাসে ৬০শতাংশ ভাড়া বাড়াইছে কিন্তু ঢাকা থেকে আইলাম ডাবল ভাড়া দিয়ে। ৭ দিনের লকডাউন দিছে, আরো কয়দিন থাকে আল্লাহই জানে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, যাত্রীদের জন্য ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। লঞ্চে যাত্রীদের চাপ পড়লেও এখনও ফেরিঘাটে খুব বেশি চাপ নেই। তবে বিকেলের দিকে যাত্রী বাড়তে পারে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, নিয়মিত যাত্রীর পাশাপাশি লকডাউনে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে যাত্রীদের মাস্ক পরিধান ও সচেতনতায় কাজ করছি।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।