এখন তিনবেলা গরম ভাত খান হাজেরা খাতুন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২১

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার হাজেরা খাতুনের কয়েকমাস আগেও দিনের পর দিন না খেয়ে কেটেছে। কখনও হোটেলে কাজ করে কখনও বা অন্যের জমিতে কাজ করে যা উপার্জন করতেন, সেটা দিয়েই কাটাতেন বছরের পর বছর। ঘর বলতে ছিল না কিছুই। অন্যের জমিতে থাকায় ছিল ভাগ্যের নিয়তি, এমনটাই মেনে নিয়েছিলেন হাজেরা খাতুন।

সেই হাজেরা খাতুনের মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে ভাগ্য বদলেছে। এখন আর তাকে থাকতে হয় না অন্যের জমিতে। কাজ করে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে তিনবেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারেন স্বামী-সন্তান নিয়ে।

হাজেরা খাতুন জাগো নিউজকে জানান, আগে তিনি এবং তার স্বামী যা উপার্জন করতেন তা দিয়ে মৌলিক চাহিদাগুলোই পূরণ করা সম্ভব হতো না। কিন্তু ঘর পাওয়ার পর তাদের দুজনের উপার্জন থেকে যা আসে তা দিয়েই ভালোভাবেই চলতে পারেন। চাল-ডাল কিনে ঘরে রাখতে পারেন। ছেলেমেয়েরাও আর আগের মতো অভুক্ত থাকে না। শেষজীবনে ভাগ্যে এমন আমূল পরিবর্তন আসবে, এটা তিনি কখনও কল্পনাও করেননি বলে জানান।

এ বিষয়ে মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জাগো নিউজকে জানান, মহম্মদপুর উপজেলায় জমিও নেই ঘরও নেই, এমন পরিবার রয়েছে ২৮৭টি। তাদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় জমি ও ঘর দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ঘর পেয়ে ছিন্নমূল মানুষেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

আরাফাত হোসেন/এসআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।