লকডাউনে জনশূন্য রাজশাহী
সরকার ঘোষিত আটদিনের কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনে রাজশাহীতে রাস্তাঘাটে নেই কোনো মানুষের চিহ্ন। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে শহরের রাস্তাগুলো ছিল একেবারেই ফাঁকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় দুই-একটি রিকশা, মোটরসাইকেল এবং জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া চোখে পড়েনি অন্যান্য যানবাহনের। বন্ধ রয়েছে শহরের সকল মার্কেট। নগরজুড়ে বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
এদিকে বুধবার সকালে মহানগরীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বর, শিরোইল বাস টার্মিনাল, তালাইমারি, রেলওয়ে স্টেশন, নিউমার্কেট, লক্ষীপুর, সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টসহ কয়েকটি এলাকায় গিযে দেখা গেছে, ওষুধ এবং মুদি দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ রয়েছে।
নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেখা গেছে পুলিশের কড়া অবস্থান। রাস্তায় বের হলেই পড়তে হচ্ছে পুলিশের জেরায়। জরুরি কাজে বের হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে থাকছে দ্রুত কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার নির্দেশনা।
সঠিক কারণ না বলতে পারলে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এছাড়া শহরের তিন প্রবেশমুখ আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা ও কাটাখালী এলাকায় পুলিশ কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে নগরীর লক্ষীপুরে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রিকশাচালকদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলছেন। রোগী নিয়ে এসেছিলাম লক্ষীপুর হাসপাতালে। কিন্তু ফেরার পথে ট্রাফিক পুলিশ রিকশার চাকার গ্যাস ছেড়ে দিয়েছে।
তবে নগরীর অলি গলি ও ছোট রাস্তায় মানুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশি টহল না থাকা লোকজন অবাধে ঘোরাফেরা করছেন।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে সেভাবেই লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় কেউ বাইরে ঘোরাঘুরি করলে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে।
তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তিনি সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
অপরদিকে নগর পুলিশের মুখপাত্র ও মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সরকার নির্দেশিত কঠোর লকডাউন পালনে কাজ করা হচ্ছে। পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
ফয়সাল আহমেদ/এসএমএম/এমকেএইচ